ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

চামড়া নিয়ে বিপাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত : ১১:৩৮ এএম, ২৮ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার

চামড়ার দাম রেকর্ড পরিমাণ কম হওয়ায় ক্রয়কৃত চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা যে দামে চামড়া সংগ্রহ করেছেন বিক্রিতে সে দাম পাচ্ছেনা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শঙ্কা ও প্রতিকুল পরিবেশের মধ্য দিয়ে বকেয়া টাকা পাওয়ার আশায় এখনও কোন রকমে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবছর রেকর্ড পরিমান চামড়ার দাম কমে যাওয়ায় ব্যাপক লোকসানের আশংকা করছেন তারা। এছাড়া পরিবহন, লেবার, লবনসহ রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কিত চামড়া ব্যবসায়ীরা।

জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চামড়া ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, ভারতে চামড়ার দাম বাংলাদেশের থেকে অনেক বেশি। তাই অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় ভারতে পাচারের চেষ্টা করছে। এ অঞ্চলে কোরবানির চামড়া বিক্রি করে যে অর্থ পাওয়া যায়, তা গরিবদের মাঝে বন্টন করে দেওয়া হয়। গতবারের মত এবারও গরিবের ভাগ্যে সামন্যই জুটবে এ অর্থ, কারন এবারও দাম নেই কোরবানির পশুর চামড়ার। ঈদের দিন বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ঘুরে ঘুরে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে থাকেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, এবছর গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা ও খাসি ৫০ টাকা দামে। যদিও কয়েক বছর আগেও একটি গরুর চামড়া ১৫০০ থেকে ২ হাজার ও খাসির চামড়া মূল্য ছিলো ২৫০ টাকা। পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল খালেক জানান, গতবছরের মতই এবারও চামড়ার দাম নেই। চামড়াগুলো বিক্রি করতে পারা গেছে এটায় বড় কথা। তিনি বলেন, চামড়ার বিক্রির টাকা গরিবের হক। চামড়ার এতো দাম কম হচ্ছে যে, গরিবের ভাগ্যে দুই ১ টাকায় জোটবে, প্রতিদিনের ভিক্ষার মতই।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ১২জন চামড়া আড়ৎদার রয়েছেন, এর বাইরে প্রতিবছরই প্রায় শতাধিক মৌসুমী ব্যবসায়ী পাড়া মহল্লায় কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে থাকেন। সংগ্রহকৃত চামড়া মূলত তারা জেলার ১২জন চামড়া ব্যবসায়ীর কাছে সরবরাহ করে থাকেন।
মৌসুমী ব্যবসায়ী সামসুল ইসলাম জানান, এবছর তারা ৫০০-৭০০ টাকা দরে গরুর চামড়া ক্রয় করেছেন। এতো কম দামে চামড়া কিনেও আড়তে এসে লোকসানের মুখেই পড়েছেন, তাকে সব চামড়ায় বিক্রি করেতে হয়েছে ৬০০ টাকা করে।

জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. মনজুর হোসেন জানান, এবছর গরুর চামড়া তারা ৪০০-৬০০ টাকা ও খাসির চামড়া ৫০-৬০ টাকায় মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিনেছেন। গতবছরের অনেক টাকা পড়ে আছে ট্যানারী মালিকদের কাছে, চামড়া কিনতে অতিরিক্ত টাকা বিনিয়োগ করতে অনেকটায় হিমসিম খেতে হয়েছে।
৫৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাজ্জাদ সরোয়ার জানান, সম্ভাব্য চামড়া পাচারের রুট গুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ঈদের দিন থেকেই আমাদের প্রতিটি বিওপিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরকে//