মধ্য আফ্রিকায় পীতজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে
প্রকাশিত : ১১:৩৯ এএম, ৭ আগস্ট ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ১১:৩৯ এএম, ৭ আগস্ট ২০১৬ রবিবার
মধ্য আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে ইয়লো ফিবার বা পীতজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এডিস মশার কামড়ে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় বেশ অপ্রতুল। ইতোমধ্যে মারা গেছেন অন্তত সাড়ে চারশ’ জন। প্রতিষেধক থাকলেও প্রশাসনিক দুর্বলতা ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার কারণে অনেকেই সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না।
ইয়লো ফিবার বা পীতজ্বর। মধ্য আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে এডিস মশার কামড়ে ছড়িয়ে পড়ছে এ জ্বরের ভাইরাস। এর কারণে লিভার এবং কিডনি আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে। গেলো এক দশকের মধ্যে সম্প্রতি এর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেড়েছে। মধ্য আফ্রিকায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মারা গেছেন অন্তত সাড়ে চারশ’ জন।
প্রতিষেধকের মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব হলেও প্রয়োজনের তুলনায় এর সংখ্যা খুবই কম। যেখানে ৪ কোটি প্রতিষেধকের প্রয়োজন সেখানে পাঠানো হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৮০ লাখ। এছাড়া অপর্যাপ্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থার কারণে নষ্ট হতে বসছে অনেক ওষধ।
এর মধ্যেও প্রতিষেধক বিতরণে প্রশাসন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তাদের গাফিলতি খুঁজে পেয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। অ্যাঙ্গোলায় জন্য বরাদ্ধ ৬০ লাখ প্রতিষেধকের মধ্যে ১০ লাখই নিজেদের মধ্যে রেখেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এদিকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে আক্রান্ত দেশ কঙ্গোর রাজধানীর একমাত্র ল্যবরেটরি বন্ধ রাখা হয়েছে। সে কারণে তিনশ’রও বেশি নমুনার ভাইরাস পরীক্ষা আটকে রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অনুন্নত পয়ঃনিষ্কাশন এবং অপরিকল্পিত উপায়ে রাখা আর্বজনার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে এ ভাইরাস। তাই এর প্রতিরোধে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে পরিচ্ছন্নতার উপর।