ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ইতিহাসের নৃশংস একটি অধ্যায় স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড

প্রকাশিত : ১১:৫২ এএম, ৭ আগস্ট ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ১১:৫২ এএম, ৭ আগস্ট ২০১৬ রবিবার

ইতিহাসের নৃশংস একটি অধ্যায় স্বপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হত্যাকান্ড। এ কালো অধ্যায়ের নেপথ্যে ছিলেন যারা, তাদের বিচার শুরু হতেও অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩৪টি বছর। তবে দন্ডপ্রাপ্তদের কয়েকজন এখনো পলাতক। ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারী ফাঁসি কার্যকর হয় ৫ খুনীর। জাতিকে কলংকমুক্ত করেতে এই দীর্ঘ অপেক্ষার পেছনে ছিল সরকার পরিবর্তন ও রাজনৈতিক স্বদিচ্ছার অভাব এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ১৯৭৫ এ মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রের চুড়ান্ত বাস্তবায়ন হয়েছিল ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যার মধ্য দিয়ে। খোন্দকার মোশতাকের নির্দেশে বিপথগামী সেনা সদস্যের নৃশংস হত্যাকান্ড ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। স্বীকৃত এ হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয় বন্ধে জারি করা হয় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ। হত্যাকান্ডের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল করে উন্মুক্ত করা হয় বিচারের পথ। সরকার পরিবর্তনের ফলে সে বিচার প্রক্রিয়ায়ও ছেদ পড়ে। খুনীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর পরেও উচ্চ আদালত বিব্রতবোধ করে। সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে ২০০৯ সালে শেষ হয় বিচার প্রক্রিয়া। খুনীদের মধ্যে ৫ জনের ফাঁসির রায় কার্যকর হয় ২০১০ সালে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাসির আসামীদের মধ্যে পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের অপেক্ষায় এখন জাতি।