সাভারে কারখানায় আগুনে পুড়ে এক শ্রমিক নিহত
সাভার সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ১১:১০ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার
ঢাকার সাভারে কারখানার গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুন লেগে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে গোপনে নিহতের মৃতদেহটি গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার স্বজনেরা।
সোমবার রাতে সাভারের হেমায়েতপুর জামুর মুচিপাড়া এলাকায় অবস্থিত প্রমা গ্রুপের পাইপ তৈরী কারখানায় এ দুর্ঘটনার ঘটেছে।
নিহতের নাম মো.দবির (৫০)। সে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার জামসা মাটিকাটা গ্রামের মৃত দিয়ানত খানের ছেলে। নিহত দবির প্রমা গ্রুপে প্রায় ১৫ বছর ধরে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করতো বলে জানা গেছে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে স্বজনরা অভিযোগ করেন, কারখানার গ্যাস লাইনে লিকেজ থাকার কারনে কর্তৃপৃক্ষের অবহেলায় দবিরের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় কারখানার কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র হাসপাতালের বিল ছাড়া অন্য কোন ক্ষতিপূরন দিবেনা বলে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে।
আব্দুল আউয়াল নামে একজন প্রতিবেশী জানান, দবির গরীব হওয়ায় খুব সাদামাটা জীবন যাপন করতো। তার অবর্তমানে সংসারে উপার্জন ক্ষম কোন লোক নেই। এখন কারখানা কর্তৃপক্ষ যদি কোন ধরনের ক্ষতিপূরন না দেয় তাহলে দবিরের সংসারটা কিভাবে চলবে।
জানতে চাইলে প্রমা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহিদুল্লাহ মজুমদার বলেন, দবির প্রায় ১৫ বছর ধরে ইলেকট্রটিশিয়ান হিসেবে প্রমা গ্রপের কাজ করতো। এখানে গ্যাস লাইনের লিকেজ থাকায় গ্যাসের চুলা থেকে হঠাৎ আগুন ধরে গেলে সে আহত হয়।পরে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাপাসাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দবির মারা যায়।
কর্তৃপক্ষের অবহেলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমাদের কারখানায় প্রায় ৪৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। কিন্তু ঈদের বন্ধের কারনে ক্যামেরাগুলোও বন্ধ থাকায় কিছুই রেকর্ড হয়নি। তবে দবির খুব ভালো লোক ছিলো। তার চিকিৎসার বিল ছাড়াও পরিবারের সদস্যদের কথা বিবেচনা করে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে আমাদের।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ মো. রেজাউল হক বলেন,আগুনে নিহত দবিরের শরীরের প্রায় ৪০ ভাগ পুড়ে যায়। এজন্য তাকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষন কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে মারা গেলে কারখানা কর্তৃপক্ষ মৃতদেহটি নিয়ে যায়।
জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক ও ট্যানারী পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্য) মোহাম্মদ গোলাম নবী শেখ বলেন এ ধরনের কোন অভিযোগ পুলিশের নিকট কেউ করেনি। তবে অভিযোগ গেলে বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেআই/এসি