ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বিচ্ছেদ ঠেকাতে যা করবেন

প্রকাশিত : ০৫:২৬ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১০:১৬ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৮ বুধবার

অনেক ধুমধাম করে অনেকে বিয়ে করেন কিন্তু কয়দিন পরই শোনা যায় তাদের সম্পর্ক ভাঙনের মুখে। আবার অনেকে দীর্ঘ দিন প্রেম-ভালোবাসা করে চার হাত এক করেছেন। কিছুদিন পরই শোনা যায় তাদের সংসার আর টিকছে না। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যখন বোঝাপড়া ভালো হয়, তখন সংসার হয় সবচেয় সুখের। কিন্তু সেই সঙ্গীর সঙ্গে যখন দূরত্ব সৃষ্টি হয়, কাছে থেকেও আপন মানুষটি দূরের হয়ে যায় এবং অমানুষের মতো আচরণ করে, তখন পৃথিবীটাই যেন নরক হয়ে ওঠে।     

বিয়ে একটি সামাজিক, ধর্মীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত সম্পর্ক। বিবাহিত নারী-পুরুষ একসঙ্গে থাকার যে প্রতিজ্ঞা করে, আন্তরিকভাবে চাইলে কখনোই সে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণ নেই।

নারী-পুরুষের শারীরিক, মানসিক, আত্মিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক আস্থার যে নির্ভরশীলতা বিয়ের মাধ্যমে তৈরি হয়, এটা খুব ঠুনকো নয়, যে একটু ঝড়ো বাতাসেই তা ভেঙে যাবে।

আসুন জেনে নেই বিবাহবিচ্ছেদ ঠেকাতে স্বামী-স্ত্রীর করণীয়।

এক সঙ্গে খাবার খান

কাজ নিয়ে এখন সবাই ব্যস্ত। তাই দুজনের তিনবেলা খাবার আর সময় হয়ে ওঠে না। কিন্তু দিনের যেকোনো একটা বেলা অবশ্যই একসঙ্গে খাবার খান। সুযোগ থাকলে এক প্লেটে খান।

ধর্মীয় প্রথা মানুন

প্রতিটি পরিবার, এলাকা-বা নিজের ধর্মের কিছু নিজস্ব সংস্কৃতি বা প্রথা থাকে। এগুলোর প্রতি সম্মান দেখান। এতে দুই পরিবারের সবাই আপনাদের খুব সহজেই আপন করে নেবেন।

মিষ্টি হাসিতে বরণ

সারাদিনের জন্য আলাদা হয়ে কাজে যাচ্ছেন। প্রিয়জনকে এমনভাবে বিদায় জানান, যেন তিনি দ্রুত আপনার কাছেই ফিরতে চান। আবার যখন দিনের শেষে দেখা হয় তাকে অবশ্যই মিষ্টি হাসিতেই বরণ করুন।

খাবার-পোশাক

পোশাক বা অন্য প্রয়োজনীয় কিছু কেনার সময়ও সঙ্গীকে সঙ্গে নিন। তার পছন্দ জানতে চান, কোনটিতে আপনাকে বেশি ভালো মানাবে, এতে তিনি নিজেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন আপনার জীবনে। খাবারের বিষয়েও মাঝে মাঝে তার পছন্দেই নিজের মেন্যু ঠিক করে নিন।

ছাড় দেয়ার মানসিকতা

সুখের সংসার করতে হলে অবশ্যই ছাড় দেয়ার মানসিকা থাকতে হবে। ধরুন আপনার সব কিছুই একদম পারফেক্ট চাই। কিন্তু সঙ্গী ব্যস্ত থাকেন বা তার হয়তো শরীর বা মন খারাপ। কিছু কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না, দিন না একটু ছাড়, নিজেরাই ভালো থাকবেন।

সঙ্গীসহ ছবি দেন

যুগটা ডিজিটাল, আমরা পুরো বিশ্বের সঙ্গে যোগযোযোগ রক্ষা করছি। বন্ধুরা কোথায় ঘুরতে যাচ্ছে, তাদের পরিবারে কী অনুষ্ঠান হচ্ছে, কাছে না গিয়েও আমরা সেই আনন্দের সঙ্গী হচ্ছি। কিন্তু সামাজিক যোগযোগের মাধ্যমগুলোতে নিজের সঙ্গীসহ ছবি দেন তো? নিজের সম্পর্কের প্রতি আপনি কতটা সিরিয়াস এটা দেখার জন্য কিন্তু ছোট ছোট এবিষয়গুলোও জরুরি।

শারীরিক সম্পর্ক

বিয়ের পরে একটা সময় পর্যন্ত শারীরিক সম্পর্ক যদিও বেশ গুরুত্ব পায়। তবে এটাই একমাত্র চাওয়া নয়, দিনে দিনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অনেক রক্তের সম্পর্ককেও ছাড়িয়ে যায়।

এসি