‘ঝুলিয়ে রাখা’ সম্পর্কের ৫ লক্ষণ
প্রকাশিত : ১০:১৪ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৯:৪৫ এএম, ৩০ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার
কিছু কিছু সম্পর্ক ভাল হয়, কিছু খারাপ আর কিছু কিছু সম্পর্ক থাকে যা ভাল বা মন্দের বাইরে। সেভাবে দেখতে গেলে হয়তো সেগুলো সম্পর্কই নয়, শুধুই এক ধরনের ঝুলে থাকা।
এই ঝুলে থাকতে থাকতে অনেক সময় কয়েক বছর কেটে যায় কিন্তু সম্পর্ক আর কোথাও পৌঁছায় না। যদি কেউ স্বেচ্ছায় ঝুলে থাকতে পছন্দ করেন এই আশায় যে কোনো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। তাদের কিছু বলার নেই।
কিন্তু যারা এখনো বুঝে উঠতে পারেননি যে তার ‘বয়ফ্রেন্ড’ বা ‘গার্লফ্রেন্ড’ তাকে ঝুলিয়ে রেখেছেন কি না, তাদের জন্য এই প্রতিবেদন।
১) হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারে মেসেজ দেখেই সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেওয়া হয়তো সম্ভব হয় না। কিন্তু যদি ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও সেই মেসেজের উত্তর না আসে, অথচ এর মধ্যে বহুবার সেই ব্যক্তি অনলাইন এসে থাকেন তবে বুঝতে হবে যে তিনি আপনার সম্পর্কে বেশ ক্যাজুয়াল। এবং তিনি আপনাকে কোনও রকম গুরুত্বই দেন না।
২) লং ডিসটান্স সম্পর্ক না হলে নিয়মিত দেখা করাটা যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক। সেই নিয়মিত-টা সপ্তাহে একদিনও হতে পারে বা পাঁচদিনও হতে পারে। নির্ভর করছে দু’জনের সুযোগ-সুবিধার উপরে। কিন্তু যদি কেউ একদিন দেখা করার পরে একই শহরে থেকেও একমাস ধরে আর সময় করতে না পারেন, তবে ব্যাপারটা বেশ সন্দেহজনক।
৩) ‘ঝুলে থাকা’ সম্পর্কের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হল ‘হঠাৎ ভীষণ ভাল লাগছে’ সিনড্রোম। (মনস্তত্ত্বের পাঠক্রমে এমন কোনও সিনড্রোমের কথা লেখা নেই। এটি শুধুমাত্র লেখার খাতিরে)। ধরুন দু’তিনদিন প্রচুর কথা বললেন সেই ব্যক্তি। তার পরে আবার দিন সাতেক তার কোনও পাত্তা নেই। আবার একদিন ভীষণ ভালবাসা নিয়ে ফোন, টেক্সট অথবা ডেটে যাওয়া। ঠিক যখন আপনি ভাবতে শুরু করেছেন যে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে, তখনই আবার সে বেপাত্তা। এইভাবে কোনো সুস্থ, দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হতে পারে না।
৪) ঝুলিয়ে রাখার প্রবণতা থাকলে সেই মানুষটি কখনোই নিজের পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আলাপ করাতে চান না। এমনকী ডেটে যাওয়ার সময়েও তারা এমন জায়গা খোঁজেন, যেখানে কারো সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
৫) যারা ঝুলিয়ে রাখতে পছন্দ করেন, তাদের এই উদাসীন আচরণ নিয়ে কিছু বলতে গেলেই সচরাচর তারা খুব আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তারা খুব ভালভাবেই জানেন যে তারা কী করছেন অথচ তারা যে ঝুলিয়ে রাখছেন কাউকে সেটা স্বীকার করতে চান না। তাই এই প্রসঙ্গ উঠলেই সাধারণত অন্য মানুষটির উপরে চোটপাট করেন, খুঁত ধরেন, অনেক সময় বেশ অ্যাবিউজিভ কথাবার্তাও বলেন।
এমএইচ/এসি