ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

মাহবুব তালুকদার বিএনপির চয়েজ: তোফায়েল

প্রকাশিত : ০৪:৪৬ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:২৭ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম ব্যবহারের বিরোধীতা করে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক বয়কট করা কমিশনার মাহবুব তালুকদার বিএনপির চয়েজ (পছন্দ) বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।  

আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন বিষয়ে আজ নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক বয়কট করেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। একইসঙ্গে তিনি আরপিও সংশোধনের এই সিদ্ধান্তে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সরকারের ভাবনা কী- এই প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক করে। তাতে মতবিরোধ হতেই পারে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটিই চূড়ান্ত। সরকার সেটি মেনে নেবে।

তিনি বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে এই ইসি গঠিত হয়েছে। এটি গঠনের সময় বিএনপিও নাম দিয়েছিল। মাহবুব তালুকদারের নাম দিয়েছিল বিএনপি। সেটি বড় বিষয় নয়। আমি মনে করি নির্বাচন কমিশনাররা সবাই দক্ষ ও নিরপেক্ষ।

ইভিএম বিতর্ক নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, ইভিএম ব্যবহার সরকারের নয়, ইসির সিদ্ধান্ত। পৃথিবীর এমন একটি দেশের নাম বলুন যেখানে নির্বাচন হওয়ার পর বিতর্ক ওঠেনি? এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ইভিএম ব্যবহার করা হয়। তবে বিএনপি এই নির্বাচন কমিশন গঠনের দিন থেকেই তার বিরোধিতা করছে। তারা যেকোনও ভালো কাজেরই বিরোধিতা করে, সমালোচনা করে।

সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, সম্প্রতি ভারত, সিঙ্গাপুর, লন্ডন, ব্যাংককে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সঙ্গে বিএনপির বৈঠক হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। সরকার বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে? এর জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘কে কোথায় বসে কী মিটিং করলো তা নিয়ে আমরা ভাবি না। আমরা ভাবি বাংলাদেশকে নিয়ে।

শেখ হাসিনা একজন সৎ, দক্ষ ও কর্মঠ রাজনীতিবিদ। ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বয়স যখন ৫০ বছর হবে তখন বাংলাদেশকে তিনি কোন জায়গায় দেখতে চান, তা নিয়ে ভেবেছিলেন। তার ভাবনা ছিল ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে, ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে। তবে বাংলাদেশ এখনই মধ্যম আয়ের দেশ ও ডিজিটাল দেশ হয়ে গেছে। এখন তার ভাবনা আগামী ১০০ বছর নিয়ে। ষড়যন্ত্র অতীতেও হয়েছে। শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা বারবার হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রকারীরা টেকেনি।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ৭৫ সালে নিষ্পাপ রাসেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্তের কেউ যেন রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে না পারে। আল্লাহর অসীম রহমতে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে গেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এখন রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। এর মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা বারবার ব্যর্থ হয়েছে, কোনও ষড়যন্ত্র টেকেনি।

/ এআর /