অধিকার নিয়েই ফিরতে চান রোহিঙ্গারা
প্রকাশিত : ০৫:২২ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:২৬ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার
ফিরে গিয়ে ফের নির্যাতনের মুখে পড়তে চান না রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। আর তাই নাগরিক অধিকার নিয়েই দেশটিতে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে দেশটির নির্যাতিত এই নাগরিকরা। কয়েক শতাব্দী ধরেই রাখাইনে বাসকরা রোহিঙ্গারা নিজেদের মাতৃভূমিতে নাগরিকত্বের মর্যাদা পায়নি৷ তাঁদের নেই কোনো সামাজিক ও রাজনৈতিক সুবিধাও৷
আর এসকল সুবিধা নিশ্চিত না হলে দেশটিতে ফিরে যেতে চান না তাঁরা৷ মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে এখন তাঁদের দাবি একটাই - দেশটির অন্যসব জাতিগোষ্ঠীর মতো সমান অধিকার না পেলে, নির্যাতিত হওয়ার আশংঙ্কা থেকেই যাবে তাঁদের৷ সে ক্ষেত্রে প্রথমে তাঁরা চান পূর্ণ অধিকার, তারপর দেশে ফিরে যাওয়া৷
কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া মো. সেলিম নামের একজন জানিয়েছে, মিয়ানমার সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তিনি আর পড়াশুনা করতে পারেননি৷ রাখাইন রাজ্যে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সেলিম বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিকভাবে আমরা রোহিঙ্গা নামে স্বীকৃত৷ আমাদের পূর্বপুরুষরাও বলেছে যে, আমরা রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর৷’’
নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে সেলিম বলেন, বাংলাদেশে তাঁরা থাকতে চাননা৷ এখানকার জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ার কোনো ইচ্ছাও তাঁদের নেই৷ ‘‘মিয়ানমারে অন্যসব জাতিগোষ্ঠী যে অধিকার ভোগ করছে, আমরা সেই অধিকার চাই৷ আমাদের অধিকার নিশ্চিত না করে মিয়ানমারে পাঠানোর চেয়ে আমাদের এখানে গুলি করে মেরে ফেলা হোক, ’’ বলেন তিনি৷
মিয়ানমারে ফেরত যাবার আগে নিজেদের অধিকার ফিরে পাওয়া বিষয়ে একই কথা বললেন মসি উল্লাহ৷ নিজ এলাকার সাবেক এ চেয়ারম্যান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের প্রথম দাবি হলো, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দেয়া৷ এটা যদি তারা না করে তাহলে আমাদের পক্ষে ওখানে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়৷’’ নিজেদের উপর সেনাবাহিনীর করা অত্যাচারের বর্ণনা দিতে গিয়ে মসি উল্লাহ বলেন, ‘‘আমরা নির্দোষ, কিন্তু তারা আমাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে, আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলেছে৷ আর কোনো ক্ষতিপূরণ না দিক, তারা আমাদের বাড়িঘর যদি তৈরি না করে দেয় আমরা কোথায় গিয়ে থাকব,’ বলেন তিনি৷
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এমজে/