ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১

রাজশাহীতে ছাত্রদলের সংঘর্ষ, নগর সভাপতির বাড়িতে হামলা

প্রকাশিত : ০৬:৪৫ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:৫৪ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০১৮ বৃহস্পতিবার

রাজশাহীর আদালত এলাকায় ছাত্রদলের দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সামনে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার কিছুক্ষন পর মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনির বাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ছাত্রদলের একাংশের নেতাকর্মীরা।

রাজপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান হাফিজ জানায়, নাশকতার একটি মামলায় বৃহস্পতিবার আদলতে হাজিরা দিতে যান নগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনসহ দলটির নেতাকর্মীরা। মামলার হাজিরা দিয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে আসার সময় কোর্ট শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নিজের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহতদের মধ্যে জ্যাকি ও লুকেন নামের দুইজনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে, এই ঘটনার কিছুক্ষন পর বেলা সোয়া ৩টার দিকে রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনির বাসায় হামলা চালায় একাংশের নেতাকর্মীরা। এ সময় তাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ ও হত্যা হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

আসাদুজ্জামান জনি বলেন, বিকেল সোয়া ৩টার দিকে নগরের রামচন্দ্রপুর বাশার রোডের নিজ বাসায় ছিলেন তিনি। কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে গিয়ে ছাত্রদলের ১৫ থেকে ১৬ জন নেতাকর্মী প্রথমে তার বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু বাসায় প্রবেশ করতে না পেরে তারা বাহির থেকে ইটপাটকেল মারে। এতে তার বাসার জানালার কাঁচ ভেঙ্গে যায়। বাসার যতগুলো কাঁচ লাগানো ছিল সবগুলো তারা ইট মেরে ভেঙ্গে গিয়েছে বলে জানান জনি।

সম্প্রতি ঘোষিত ও পরে স্থগিত হওয়া নয়টি ইউনিট কমিটির পদবঞ্চিতরা এ হামলা চালিয়েছে দাবি করে জনি আরো বলেন, এর আগে তারাই বিএনপি কার্যালয়ে তালা ঝুলায় এবং ভাংচুর ও নতুন নেতৃবৃন্দকে মারপিট করেছিল। এর জের ধরে আদালত এলাকায় নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পদবঞ্চিতদের সংঘর্ষ হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট রাজশাহী নগর ছাত্রদলের নয়টি ইউনিটের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর জের ধরে পরের দিন দুপুরে পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা নগর বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিলে বিকেলে নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ ভেঙ্গে ফেলে। পরে দিন দুপুরে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা নগর বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে ভাংচুর চালায়। এ সময় বাধা দিতে গিলে নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় দলের কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশে ঘোষিত নয়টি ইউনিট কমিটি স্থগিত করে নগর ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এ নিয়ে কদিন ধরেই ছাত্রদলের দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আরকে//