‘ড্রিম গার্ল’এর খোঁজে রাস্তায় প্রেমিক
প্রকাশিত : ১১:৫১ এএম, ৩১ আগস্ট ২০১৮ শুক্রবার
জোকার বিশ্বজিৎ পোদ্দারের কাছে প্রেমের ধারণা সম্পূর্ণ অন্যরকম৷ ট্রেনের কয়েক মুহূর্তের সামান্য আলাপচারিতায় এক মোহময়ীর প্রেমে পড়ে গিয়েছেন তিনি৷ কিন্তু সমস্যা একটাই তার নাম, পরিচয় কিছুই জানা হয়নি যে৷ ওই মোহময়ীকে খুঁজতে তাই এখন হন্যে হয়ে চাকরি সামলে ট্রেনে ট্রেনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি৷ ‘ড্রিম গার্ল’-কে খুঁজে পেতে নানা পন্থাও অবলম্বন করেছেন বিশ্বজিৎ৷
জোকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ পোদ্দার পরিবেশ দপ্তরে ক্লার্কের চাকরি করেন৷ ২৩ জুলাই বর্ধমান লোকালে করে তারাপীঠ যাচ্ছিলেন তিনি৷ ওই তরুণীও তার বাবা-মার সঙ্গে উঠেছিলেন ট্রেনে৷ একে অপরের উলটোদিকে বসেছিলেন৷ বিশ্বজিতের দাবি, তরুণীকে প্রথম দর্শনেই ভাল লেগে গিয়েছিল তার৷ ওই তরুণীও ট্রেনে বসে বারবার তাকে দেখছিলেন৷ হাসছিলেন৷ ইঙ্গিত-ইশারায় নাকি তিনিও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বজিতকে কম ভাল লাগছে না তার৷
কিন্তু ইতিমধ্যেই নিজের গন্তব্য চলে আসে তরুণীর৷ বাবা-মার সঙ্গে নেমে যান তিনি৷ ইতিমধ্যে আর তরুণীর থেকে নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর কিছুই দেওয়া নেওয়া হয়নি৷ তরুণীকে খুঁজে পেতে হন্যে হয়ে গিয়েছেন বিশ্বজিৎ৷ ওই দিন যে টি-শার্ট পরেছিলেন বিশ্বজিৎ, সেই পোশাকেই রোজ অফিস যান তিনি৷ অফিস শেষে হাওড়া থেকে কোন্নগর পর্যন্ত ‘ড্রিম গার্ল’-র খোঁজে ঘুরে বেড়ান তিনি৷
শুধু তাই নয়, বালি, কোন্নগর, নবগ্রাম, উত্তরপাড়া ও হিন্দমোটর পর্যন্ত প্রত্যেকটি স্টেশনে নিজের ছবি দিয়ে পোস্টার লাগিয়েছেন তিনি৷ প্রেয়সীর সঙ্গে যোগাযোগের আশায় ওই পোস্টারে নিজের মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে দিয়েছেন তিনি৷ এছাড়াও ‘কোন্নগরে কনে’ নামে ইউটিউবে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন বিশ্বজিৎ৷
বিশ্বজিতের পরিবারের দাবি, পাগল হয়ে গিয়েছে তাদের ছেলে৷ এভাবে কাউকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়৷ কিন্তু বিশ্বজিৎ সে কথা মানতে নারাজ৷ এখন পাগলপারা প্রেমের হাওয়াতে ভেসে বেড়াচ্ছেন তিনি৷ ‘ড্রিম গার্ল’-র সন্ধানে বেড়িয়ে আচমকাই যেন এই সরকারি চাকুরে একঘেয়ে জীবনে লেগেছে বসন্তের ছোঁয়া৷
আরকে//