ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরের অনুদান বন্ধ যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত : ০৯:১৯ এএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘ পরিচালিত শরণার্থী শিবিরের অনুদান বন্ধ করে দিলো যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে ইউনাইটেড ন্যাশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সী’র (উনরোয়া) জন্য সব ধরণের অনুদান বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংস্থাটিতে ‘ব্যাপক অনিয়ম’ এর অভিযোগ এনে অনুদান বন্ধ করে দিলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র হিথার নরেট বলেন, “মার্কিন প্রশাসন  সাবধানতার সাথে বিষয়টি বিবেচনা করেছে। আর সবকিছুর পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আর উনরোয়াকে অতিরিক্ত কোন অনুদান দেবে না”।

ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। মাহমুদের পক্ষে তাঁর মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তকে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ‘হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

নাবিল আবু রুদিনা বলেন, “এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর যে কোন ভূমিকা নেই; এমন ধারণা পরিবর্তনে এই সিদ্ধান্ত মোটেও কার্যকর হবে না। একই সাথে এই সিদ্ধান্তের ফলে এটাও নিশ্চিত হলো যে, যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলের সমস্যা সমাধানের কোন অংশ নয়”। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান বন্ধ করার এই সিদ্ধান্তকে জাতিসংঘের ‘অবাধ্যতা’ বলেও মন্তব্য করেন নাবিল।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ এবং অনুদান বন্ধের সমালোচনা করেছে উনরোয়া-ও। সংস্থাটির মুখপাত্র ক্রিস গুনেস বলেন, “উনরোয়ার স্কুল, স্বাস্থ্য এবং জরুরী সাহায্য কর্মসূচিকে যে ‘ব্যাপক অনিয়মগ্রস্ত’ বলা হয়েছে আমরা তার কঠোর নিন্দা জানাই”।

এদিকে সংস্থাটির প্রায় অর্ধেক পরিমাণ অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে গত জানুয়ারিতেই জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রই ছিলো উনরোয়া’র সবথেকে বড় দাতা দেশ। ২০১৬ সালে ৩৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটির প্রায় ৩০ শতাংশ খরচ বহন করে দেশটি।

১৯৪৮ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের ফলে শরণার্থীদের সাহায্য ও ত্রাণ সহায়তা দিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় উনরোয়া। বর্তমানে মধ্য প্রাচ্যের প্রায় ৫০ লক্ষ শরণার্থীর জন্য কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি।

সূত্রঃ বিবিসি

//এস এইচ এস//