স্বচ্ছতা বজায় রাখার তাগিদ
শিগগিরই বাস্তবায়ন হচ্ছে স্বল্প সুদে গৃহঋণ
রিজাউল করিম
প্রকাশিত : ০৬:৫৪ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১২:১৬ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সোমবার
শিগগিরই বাস্তবায়ন হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের স্বল্প সুদে গৃহঋণ প্রদান কার্যক্রম। অক্টোবর থেকে সরকারি কর্মচারীরা ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে গৃহঋণ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। গৃহ নির্মাণ ঋণের ওয়ার্কিং কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। তবে ব্যাংকগুলোকেও এ ঋণ বিতরনে শতভাগ স্বচ্ছতার বজায় রাখার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এই প্রক্রিয়ায় ছোট কোনো অনিয়মও হলে ব্যাংকিং পদ্ধতিতে নতুন একটি অনিয়ম দেখা দেবে।
সূত্র জানায়, ঋণ ছাড়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেছে। দেশের ১২ লাখ কর্মচারীর হাতে এ ঋণের অর্থ তুলে দিতে সরকারের পক্ষ থেকে জোর তাগিদ রয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই সরকার এ কার্যক্রমের বাস্তবায়ন দেখতে চায়।
গৃহ নির্মাণ ঋণের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়েছে- একটা অভিন্ন আবেদনপত্র তৈরির ব্যাপারে। আবেদনকারী কর্মচারীরা জাতীয় পরিচয়পত্র, চাকরির স্থায়ীকরণপত্র, বেতনের রশিদ, সম্ভাব্য পেনশন থেকে আয়, ব্যাংকের হিসাব বিবরণ ও অন্য ব্যাংকে যদি কোনো ঋণ নেওয়া থাকে- এ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র আবেদনের সঙ্গে দিতে হবে।
গত ৩০ জুলাই অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার স্বাক্ষরিত ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা’ ২০১৮ প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে অর্থ বিভাগ। যা ১ জুলাই থেকে কার্যকরের কথা বলা হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী, গৃহনির্মাণে পাঁচ শতাংশ সরল সুদে ঋণ নেওয়ার যোগ্যতা হিসেবে কর্মচারীদের বয়সসীমা করা হয় চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর সর্বনিম্ন পাঁচ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫৬ বছর। সে হিসেবে প্রায় ১২ লাখ কর্মচারি এ ঋণ সুবিধা পাবেন।যা বাস্তবায়নে এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, এ ঋণ কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চলছে। খুব শিগগিরই এটি বাস্তবায়ন হবে।
জানা গেছে, রাষ্ট্র মালিকানাধীন তফসিলি ব্যাংক ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন সরকারের এ ঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে সরকারি কর্মচারীদের জন্য গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এসব বিষয়ে দেখভালের জন্য অর্থ বিভাগের একটি স্বতন্ত্র সেল গঠন করা হবে। এরই মধ্যে সেল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে অর্থ বিভাগ। সেল গঠন হলে কর্তৃপক্ষ ব্যাংক ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) করবে। সম্পূর্ণ অটোমেশন (অনলাইন) ভিত্তিতে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
নীতিমালার আওতায় জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড ভেদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ এবং সর্বনিম্ন ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। এ ঋণের মোট সদুহার ১০ শতাংশ। তবে এ ১০ শতাংশ সুদের পাঁচ শতাংশ সরকার এবং বাকি পাঁচ শতাংশ ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবে। ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ (ঋণ পরিশোধ শুরুর সময়) ২০ বছর মেয়াদে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ঋণ নেওয়ার জন্য অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান মনোনীত করার আগে অর্থ বিভাগের অনুমতি নিতে হবে।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, উপ-সচিব থেকে সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা, জাতীয় বেতন স্কেলের পঞ্চম থেকে প্রথম গ্রেডভুক্তরা ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ বছর মেয়াদে এ ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ কিংবা ফ্ল্যাট ক্রয় করতে পারবেন। সর্বনিম্ন ১৮ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবেন।
নীতিমালা অনুযায়ী, জাতীয় বেতনকাঠামোর পঞ্চম গ্রেড থেকে প্রথম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা, যাদের বেতন স্কেল ৪৩ হাজার বা এর বেশি তারা প্রত্যেকে ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরে গৃহনির্মাণে ঋণ পাবেন ৭৫ লাখ টাকা। জেলা সদরে এর পরিমাণ হবে ৬০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য এলাকায় ৫০ লাখ টাকা।
বেতনকাঠামোর নবম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেড পর্যন্ত বা যাদের মূল বেতন ২২ হাজার থেকে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা, তারা ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদর এলাকার জন্য ৬৫ লাখ টাকা, জেলা সদরের জন্য ৫৫ লাখ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৪৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন।
দশম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত যাদের মূল বেতন ১১ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা তারা ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরের জন্য ৫৫ লাখ টাকা, জেলা সদরের জন্য ৪০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৩০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন।
১৪তম থেকে ১৭তম গ্রেড বা নয় হাজার থেকে ১০ হাজার ২০০ টাকা বেতন স্কেলে ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরের জন্য ৪০ লাখ টাকা, জেলা সদরের জন্য ৩০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ২৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। ১৮তম থেকে ২০তম গ্রেড বা আট হাজার ২৫০ টাকা থেকে আট হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত মূল বেতন পান- এমন কর্মচারীরা ঢাকাসহ সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরের জন্য গৃহনির্মাণ ঋণ পাবেন ৩০ লাখ টাকা। জেলা সদরে এটি হবে ২৫ লাখ টাকা এবং অন্যান্য এলাকার জন্য পাবেন ২০ লাখ টাকা।
সরকারি কর্মচারীদের গৃহনির্মাণে ঋণের মাধ্যমে অর্থের জোগান দিতে এ নীতিমালা করা হলেও সরকারের আওতাধীন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর, পরিদফতর ও কার্যালয়গুলোতে স্থায়ী পদের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত বেসামরিক কর্মচারীরাও এ সুবিধা পাবেন। সামরিক, রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি, পৃথক বা বিশেষ আইন দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত কর্মচারীরা এ নীতিমালার আওতাভুক্ত হবেন না। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যাংক থেকে এ ধরনের গৃহনির্মাণ ঋণ সুবিধা পেয়ে থাকেন।
এ হিসেবে প্রায় ১২ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী গৃহনির্মাণ ঋণ সুবিধা পাবেন। তারা এককভাবে এ ঋণ নিতে পারবেন। আবাসিক বাড়ি করার জন্য গ্রুপভিত্তিক ঋণও নেওয়া যাবে। ফ্ল্যাট কেনার জন্যও এ ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে ফ্ল্যাট হতে হবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত অর্থাৎ রেডি ফ্ল্যাট। অবশ্য সরকারি সংস্থার নির্মাণ করা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ রেডি ফ্ল্যাটের শর্ত শিথিল করা যাবে।
তবে কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু এবং দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রে চার্জশিট দাখিল হলে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যান্ত এ নীতিমালার আওতায় ঋণ গ্রহণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে চুক্তিভিত্তিক, খণ্ডকালীন ও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত কোনো কর্মচারী এ নীতিমালার আওতায় ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না।
নীতিমালার ৪ ধারায় ঋণ পাওয়ার শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, এ নীতিমালার আওতায় একজন সরকারি কর্মচারী দেশের যেকোনো এলাকায় গৃহনির্মাণ বা ফ্ল্যাট কেনার উদ্দেশ্যে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। গৃহনির্মাণ বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ভবনের নকশা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত হতে হবে। যে জমি বা ফ্ল্যাট কেনা হবে, তা সম্পূর্ণ দায়মুক্ত হতে হবে। ঋণদানকারী ব্যাংক বা বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ব্যাংকে আবেদনকারীর একটি হিসাব থাকবে। ওই হিসাবের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বেতন-ভাতা, পেনশন ও গৃহনির্মাণ বা ফ্ল্যাট ক্রয় ঋণ বিতরণ ও আদায়ের পুরো কার্যক্রম পরিচালিত হবে। রেডি ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ঋণের পুরো অর্থ এক কিস্তিতে ছাড় করবে ব্যাংক। গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে ঋণের টাকা চার কিস্তিতে ছাড় করা যাবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, গৃহনির্মাণ ঋণ দেওয়ার আগে যে সম্পত্তিতে ঋণ দেওয়া হবে, তা ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বরাবর রেজিস্টার্ড দলিলমূলে বন্ধক রাখতে হবে। বাস্তুভিটায় বাড়ি করার ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতার মালিকানাধীন অন্য কোনো সম্পত্তি বন্ধক রাখা যাবে। এ ঋণ পরিশোধের মেয়াদ হবে ২০ বছর।
গৃহনির্মাণের প্রথম কিস্তি ঋণের অর্থ পাওয়ার এক বছর পর, ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ঋণের অর্থ পাওয়ার ছয় মাস পর থেকে ঋণগ্রহীতা মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ শুরু করবেন। কোনো কারণে মাসিক কিস্তি পরিশোধে দেরি হলে বিলম্বের জন্য আরোপযোগ্য সুদ শেষ কিস্তির সঙ্গে যুক্ত হবে। যে ব্যাংক ঋণ দেবে, সেই ব্যাংকে তার মাসিক বেতনের হিসাব খুলতে হবে। তার বেতন-ভাতা ওই হিসাবে জমা হবে। ব্যাংক সেখান থেকে প্রথমে মাসিক ভিত্তিতে কিস্তির টাকা কেটে নেবে। পরে ঋণগ্রহীতা বেতন-ভাতার বাকি অর্থ হিসাব থেকে তুলতে পারবেন। ঋণগ্রহীতা অন্যত্র বদলি হলে তার হিসাবও সেখানে একই ব্যাংকের কোনো শাখায় স্থানান্তর করে নেবেন।
নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারী ঋণ নেওয়ার পর স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়লে বা বাধ্যতামূলক অবসর, বরখাস্ত বা চাকরিচ্যুত হলে আদেশ জারির তারিখ থেকে ঋণের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য সুদ বাবদ সরকার কোনো ভর্তুকি দেবে না। এক্ষেত্রে ঋণের অপরিশোধিত অর্থ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর পেনশন সুবিধা বা আনুতোষিক সুবিধা থেকে আদায় করা হবে। ঋণগ্রহীতার মৃত্যু হলে তার পারিবারিক পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা থেকে যতটুকু সম্ভব ঋণ পরিশোধ করা হবে। এরপরও ঋণ পাওনা থাকলে উত্তরাধিকারদের কাছ থেকে তা আদায় করা হবে।
ঋণের সর্বোচ্চ সিলিং নির্ধারণ সম্পর্কে নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেতন স্কেল অনুযায়ী সর্বোচ্চ যে সিলিং সরকার নির্ধারণ করে দেবে, সেটিও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের যথাযথ পদ্ধতিতে যে পরিমাণ ঋণ সুবিধা নির্ধারণ করবে তার মধ্যে যেটি কম সেই পরিমাণ ঋণ পাবেন। ফ্ল্যাট কেনা বা নিজস্ব জমিতে বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে ঋণ দেয়ার জন্য ডেট ইক্যুইটি রেশিও (অনুপাত) হবে ৯০:১০। অর্থাৎ ফ্ল্যাট কেনা বা নিজস্ব জমিতে বাড়ি নির্মাণের জন্য কেউ নিজস্ব উদ্যোগে ১০ টাকা খরচ করলে তিনি ৯০ টাকা ঋণ পাবেন।
বাংলাদেশে ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারি কর্মচারিদের গৃহঋণ প্রদান নি:সন্দেহে ভালো উদ্যোগ। তবে এ উদ্যোগের আওতায় অন্যদেরও আনার চেষ্টা রাখতে হবে। আবার ব্যাংকগুলোকেও এ ঋণ প্রদানে স্বচ্ছতার বিষয়টি গুরুত্বে রাখতে হবে।বিপুল এ অর্থ যেন অস্পষ্টতার অজুহাতে কারো কাছে আটকে না থাকে। কোনো রকম অনিয়ম হলে ব্যাংকিং পদ্ধতিতে নতুন একটি অনিয়ম দেখা দেবে।
রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, স্বল্প সুদে ঋণের এ পরিপত্রের কারণে এরইমধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে গৃহনির্মাণ বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের আগ্রহ জন্মেছে। যা আবাসন শিল্পের জন্য খুবই সুখের খবর। এর মাধ্যমে আবাসন শিল্পে ১৩ লাখ নতুন বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে কার্যক্রম চলছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা ফেলো খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানে সরকারি উদ্যোগ অত্যন্ত ভালো একটি পদক্ষেপ।সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি এটার মাধ্যমে দীর্ঘদিনে মন্দায় থাকা আবাসন শিল্পেও স্বস্তি আসতে পারে।তবে এখানে দুটি বিষয় দেখতে হবে যে এ উদ্যোগ নির্বাচন কেন্দ্রীক কি না।আবার এটি থেকে দেশের বিপুল সংখ্যক বেসরকারি কর্মকর্তারা বাদ পড়লে কোন বৈষম্যের সৃষ্টি হবে কি না। বৈষম্যের আশঙ্কা থাকলে বেসরকারি কর্মচারীদের জন্যও এ ব্যবস্থা চালু করা উচিত।
/ এআর /