ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

বন্যার পানি নেমে গেলেও বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত : ০১:১৬ পিএম, ৯ আগস্ট ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:১৬ পিএম, ৯ আগস্ট ২০১৬ মঙ্গলবার

দেশের বিভিন্নস্থানে বন্যার পানি নেমে গেলেও বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। জলাবদ্ধতার কারণে বাড়ি ফিরতে পারছেন না অনেকেই। ফসল হারিয়ে কৃষকরা দিশেহারা। দুর্গত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া ও চর্ম রোগসহ নানা রোগ-বালাই। এদিকে মধ্য ও দক্ষিনাঞ্চলে বেড়েছে নদী ভাঙন। পদ্মার তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়ার ভেঙে যাওয়া ঘাটগুলো এখনো মেরামত না হওয়ায় শত শত যানবাহন আটকে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নামলেও বসতভিটায় জলাবদ্ধতার কারণে এখনো বাড়ি ফিরতে পারছেন না অনেকেই। বাঁধ ও সড়কে দুর্বিসহ দিন কাটছে তাদের। এর সাথে যোগ হয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে দুর্গত এলাকার শিশুরা। বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে ৯ উপজেলায় ১০ হাজার ৫শ হেক্টর জমির আউশ ধান, বীজতলা, পটল, মরিচসহ বিভিন্ন ফসল। কাজ না থাকায় তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। সিরাজগঞ্জে ৮ উপজেলার ২৫ হাজার ৫২৪ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। চরম হতাশায় দিন কাটছে কৃষকের। মাদারীপুরে বন্যার পানি কমার পর, দেখা দিয়েছে প্রবল ভাঙ্গন। বিলীন হয়ে যাচ্ছে পদ্মা পাড়ের বসতভিটা। ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গাইবান্ধায় যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও তিস্তা নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কাটেনি বানভাসীদের। বসতভিটায় দুষিত পানি থাকায় চর্মরোগসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে দুর্গত এলাকার মানুষ। এদিকে পদ্মার তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়ার ঘাটগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায়, গেলো দুইদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে তিনটি ঘাট। কোনোরকমে চালু রাখা হয়েছে একটি ঘাট। আর একটিমাত্র ঘাট দিয়ে পারাপার করায় দু’পারে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।