ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

প্রেক্ষাগৃহগুলোতে সিনেমা দেখার পরিবেশ নেই : পপি

প্রকাশিত : ০২:৪৭ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ রবিবার

জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপি। বেশ কিছুদিন তিনি পর্দার আড়ালে ছিলেন। বর্তমানে আবারও চলচ্চিত্রে নিয়মিত হতে চেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ অভিনেত্রী সম্প্রতি কয়েকটি নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে অভিনয় শুরু করেছেন। আড়ালে থাকা পপি মিডিয়ায় অনেকটা ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করছেন।

বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে পপি বলেন, ‘সাহসী যোদ্ধা’ নামে একটি সিনেমার শুটিং করছি। পাশাপাশি ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ নামে আরও একটি সিনেমার কাজ করছি। এছাড়াও হাতে রয়েছে আরও তিনটি চলচ্চিত্র। এগুলো নিয়েই সময় কাটছে।

সবারই ইচ্ছা থাকে চরিত্রে ভেরিয়েশন নিয়ে কাজ করতে। সেক্ষেত্রে পপিও ক্যারিয়ারে অনেক চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সবচেয়ে বেশি কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন নারীপ্রধান ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত চরিত্রে।

দেশের চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে চিত্রনায়িকা বলেন, ‘খুব যে ভালো বলা যাবে তা নয়। তবে ভালো করার চেষ্টা করছেন সবাই। আগে বছরে প্রায় ১০০ সিনেমা নির্মিত হতো। এখন হাতেগোনা সিনেমা নির্মাণ হয়। এর প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের সিনেমা হল নেই। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় যদি ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম দিয়ে সিনেমা হল করে দেয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গন পরিবর্তন হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে বলতে পারি, হল বাড়লে দর্শক হলে গিয়ে সিনেমা দেখবেন। আমি এখনও দেখি দর্শক হলমুখী হতে চায়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমাদের দেশে যে ক’টা হল আছে তার বেশির ভাগই নোংরা। চেয়ারও ঠিক নেই। হলের ভেতর দুর্গন্ধ। দর্শকরা সপরিবারে হলে গিয়ে সিনেমা দেখবে সেই পরিবেশ নেই এখন। হল যদি ঠিক করা হয় তবে অবশ্যই দর্শক হলে যাবে বলে আমি মনে করি।’

মিডিয়া থেকে সিনিয়র শিল্পীরা ধীরে ধীরে আড়াল হচ্ছেন। এ বিষয়ে পপি বলেন, ‘এটা সময়ের দাবি। আসলে নতুনদের জায়গা করে দিতে হবে। আমরা যখন নতুন ছিলাম তখনও অনেক সিনিয়র আমাদের জায়গা করে দিয়েছেন। তাই হতাশ বা নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। আমি অনেক পেয়েছি যা কখনও কল্পনাও করিনি। আমি নিজেকে সব সময় সফল মনে করি।’

এসএ/