ঘুমের সঠিক পদ্ধতি
প্রকাশিত : ০৩:৩১ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ রবিবার
কম বেশি সবাই স্বাস্থ্য সচেতন৷ আর সেই জন্যই নিয়ম মেনে খাদ্য তালিকায় যোগ করেন হাজারো হেলদি ফুডস৷ কিন্তু স্বাস্থ্য মানে শুধু হেলিদি ফুড নয়৷ আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সম্পূর্ণ খাদ্য তালিকাকে, সঠিক ঘুম৷ কিন্তু আমরা অনেকেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিই না৷ ফলে দিনের শেষে অসম্পূর্ণ থেকে যায় আমাদের ‘ডায়েট চার্ট’৷ এতো গেল সাধারণ কথা৷ কিন্তু ঘুম নিয়ে কী বলছে আয়ুর্বেদ?
আয়ুর্বেদের তথ্য অনুসারে, স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল খাদ্য তালিকা, নিদ্রা (ঘুম)৷ সব কিছুর উপরেই নির্ভর করে সুস্থতার মাপকাঠি৷ কিন্তু অনেক সময়ই আমরা মেনে চলি না সঠিক নিয়ম৷ যার ফল হিসেবে দেখা দেয় শারীরিক অসুস্থতা৷ সাধারণত একটি শিশুর দিনের ঘুমের প্রয়োজন হয় প্রায় ২০ ঘণ্টা৷ অন্যদিকে, একজন প্রাপ্তবয়স্কের দিনে ঘুমের প্রয়োজন হয় সাত থেকে নয় ঘণ্টা৷ বয়সের ভিন্নতা অনুযায়ী আমাদের ঘুমের সময়ে তফাত ঘটে থাকে৷ অনেকে আবার আছে ‘শর্ট-স্লিপারস’৷ তারা অবশ্য এই পরিমাণ ঘুমেই সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন কাটায়৷
একজন মানুষ গভীর ঘুমের মধ্যে সম্পূর্ণ অচৈতন্য অবস্থায় থাকে৷ আর এ সময়ই মানুষটি নিজের সত্বার খুব কাছাকাছি থাকে৷ সে জন্যই ঘুম আমাদের সুস্থ-সতেজ করে তোলে৷ তাই ঘুমের সময় সব সময় বাঁ দিক ঘেঁষে শোয়া উচিত৷ কারণ এতে হার্টের উপর চাপ কম পড়ে৷ ঘুম শারীরিক নয়, একটি মানসিক অবস্থা৷’ অন্যদিকে, অতিরিক্ত ঘুমও হতে পারে অস্বাস্থ্যকর৷
অনেকেই আবার অনিন্দ্রা রোগে ভুগে থাকেন৷ তবে আজকাল বেশীরভাগ খুব কম বয়সী ছেলে মেয়েরাই ভুগছে এই রোগে৷ যদিও তার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে প্রযুক্তি৷ কারণ আজকাল টিনএজ ছেলে মেয়েরা ঘুমের সময় অতিবাহিত করে নিজেদের স্মার্টফোনে৷ তবে সঠিক ঘুমের জন্য প্রয়োজন একটি নির্দিষ্ট সময়ের৷ সঙ্গে মেনে চলুন কয়েকটি সাধারণ বিষয়৷ রাতের দিকে চা, কফি কম পরিমাণে খান৷ তালিকা থেকে বাদ দিন অ্যালকোহল৷ কারণ প্রাথমিকভাবে ঘুমোতে সাহায্য করলেও সকালে দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। এ জন্য সময়মত ডিনার করুন, এড়িয়ে চলুন রাতের টিভি প্রোগ্রাম৷
সূত্র: কলকাতা ২৪x৭
একে//