ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

আশুলিয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু  

সাভার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:৩০ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ রবিবার

রাজধানী ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার ডগরতলী এলাকার বংশী নদীতে সহপাঠীদের সাথে পানিতে গোসল করতে নেমে নিহত হয়েছে দুই শিক্ষার্থী।    

রোববার দুপুরে শিক্ষার্থী সোহাগ খন্দকারের লাশ স্থানীয় জেলেরা জাল ফেলে উদ্ধার করেছে। অপরদিকে দুপুর ২টার দিকে ডিইপিজেডের দমকল বাহিনীর ডুবুরিরা নিহত মাসুদের লাশ উদ্ধার করেন।  

জানা গেছে, হিন্দুধর্মালম্বীদের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ৮শিক্ষার্থী একত্রে ডগরতলী এলাকায় বংশী নদীতে গোসল করতে নামে। সেখানে নদীর স্রোতে ভেসে যায় সোহাগ ও মাসুদ। তাদের অন্যান্য সহপাঠীরা সাঁতরে কূলে ওঠতে পারলেও তারা দু’জন ওঠতে পারেনি।   

এ খবর স্থানীয়দের কাছে পৌঁছালে জেলেরা প্রথমে নদীতে জাল ফেলে তাদের খুঁজতে থাকেন। এরপর ডিইপিজেডের দমকল বাহিনীর ডুবুরি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই জেলেরা সোহাগের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। পরে বেলা দুইটার দিকে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা নিখোঁজ মাসুদের লাশ উদ্ধার করেন।   

পানিতে ডুবে নিহত সোহাগ খন্দকার আশুলিয়ার কাইছাবাড়ির এলাকায় সিরাজুল খন্দকার ও জেএল মডেল স্কুলের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো। অপর নিহত শিক্ষার্থী মাসুদ হোসেন কাইছাবাড়ি এলাকায় ইকবাল হোসেনের ছেলে ও কাইছাবাড়ি আইডিয়াল মডেল স্কুলের ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

প্রত্যেক্ষদর্শী জিল্লুর হোসেন জানান, রেবাবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ৮জন বিভিন্ন বয়সের শিশু-কিশোর বংশী নদীতে গোসল করতে নামে। এ সময় দু’জন প্রবল স্রোতের টানে পানিতে তলিয়ে যায়। বাকী ৬ জন ডাঙ্গায় উঠতে পারলেও দু’জন প্রাণ হারায়।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ষ্টেশন কর্মকর্তা আবদুল হামিদ জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালায়। স্থানীয় জেলেদের জালে একজনের লাশ উঠাতে সক্ষম হলেও অপর নিখোঁজ মাসুদের লাশ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। 

কেআই/এসি