এসএম সুলতানের ৯২তম জন্মদিন আজ
প্রকাশিত : ০১:২৪ পিএম, ১০ আগস্ট ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ০১:২৪ পিএম, ১০ আগস্ট ২০১৬ বুধবার
আজ বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯২তম জন্মদিন। বিখ্যাত এই চিত্রশিল্পী জীবনের মূল সুর-ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন, কৃষক এবং কৃষিকাজের মধ্যে। আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য, দ্রোহ-প্রতিবাদ, বিপ্লব-সংগ্রাম এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকার ইতিহাস উঠে আসে তাঁর শিল্পকর্মে।
শৈশবে সবাই তাকে ডাকতেন লাল মিয়া বলে । ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন এসএম সুলতান। পরিবারের সামর্থ্য না থাকলেও তাকে ভর্তি করা হয় ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলে। কিন্তু মাত্র পাঁচ বছর পড়ার পর তিনি স্কুল ছেড়ে বাবার সহযাগী হিসেবে রাজমিস্ত্রীর কাজ শুরু করেন। এ সময়ই ইমারত তৈরির কাজ সুলতানকে প্রভাবিত করে এবং তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজের ফাঁকে আঁকা-আঁকি শুরু করেন।
১০ বছর বয়সে পেন্সিল স্কেচের মাধ্যমেই শিল্পী হিসেবে সুলতানের প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে।
এরপর কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি হন। স্কুলের বাঁধাধরা জীবন সুলতানের ভাললাগতো না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ঘুরে ঘুরে ছবি এঁকে তা সৈন্যদের কাছে বিক্রি করতেন। তাঁর আঁকা ছবির প্রথম প্রদর্শনী হয় ১৯৪৬ সালে সিমলায়। তাঁর দুটি বিখ্যাত ছবি হত্যাযজ্ঞ এবং চরদখল। যথাযথ উদ্যেগের অভাবে তার বেশীরভাগ ছবি সংরক্ষণ করা সস¢ব হয়নি।
চিত্রা নদী ঘিরে অফুরন্ত স্বপ্ন ছিল বিশ্ববরেণ্য এই চিত্রশিল্পীর। শেষ বয়সে তিনি শিশুস্বর্গ এবং চারুপীঠ নামে দুটি শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। সুলতান স্মৃতিসংগ্রহশালা’র আকর্ষণেই প্রতিনিয়ত ছুটে আসেন পর্যটকরা
শিল্পী সুলতান ফর্মের নিরীক্ষাকে গুরুত্ব দেননি, দিয়েছেন মানুষের ভেতরের শক্তির উত্থানকে। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর অভিমানী এই শিল্পী চলে যান না ফেরার দেশে।