৩১ বছর ধরে জন্মাষ্টমী পালন মুসলিম পরিবারে!
প্রকাশিত : ০৫:৩৯ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সোমবার
সম্প্রীতির নমুনা দেখালেন ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরের ডাঃ এস আহমেদ। মুসলিম হয়েও তিনি তার বাড়িতে পালন করলেন জন্মাষ্টমী। যা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে করেছে হতবাক।
সুন্দর করে সাজানো বেদী৷ সেখানে রাখা কৃষ্ণমূর্তি৷ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আর একটু বেশিই সাজানো হয়েছে৷ যথারীতি চলছে পুজো-আচ্চার আয়োজন৷ জন্মাষ্টমীতে এ কোনও অপরিচিত দৃশ্য নয়, তবে যে বাড়িতে এই উদযাপন, তা আসলে এক মুসলিম পরিবারে৷ ধর্মে বিভাজনের খড়ি টেনেছে মানুষ৷ আর তাই এই পুজো দেখে অনেকেরই অবাক লাগে৷ কিন্তু এ বাড়িতে জন্মাষ্টমীর পুজোর রেওয়াজ এই তিন দশকে পা দিল৷
মানুষকে যা ধারণ করে তাই-ই ধর্ম৷ কিন্তু মানুষই সেই ধর্মে বিভাজন এনেছে৷ হিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান-জৈন হয়ে ভাগ হয়ে গিয়েছে বহু সম্প্রদায়ে৷ আবার মানুষই পারে সেই বিভাজন ভেঙে দিয়ে এক হয়ে যেতে৷ সেরকমই সম্প্রীতির নমুনা দেখালেন কানপুরের ডাঃ এস আহমেদ৷ টানা ৩১ বছর ধরে নিজেদের বাড়িতে জন্মষ্টমী পালন করে আসছেন তারা৷
কেন এ কাজ করে চলেন তারা? ডাঃ আহমেদ জানাচ্ছেন, তিনি কৃষ্ণের ভক্ত৷ ভগবান কৃষ্ণের প্রতি তার ও তার পরিবারের সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধা আছে৷ তবে নেপথ্যে আছে এক গভীর বার্তা৷ তা হল সম্প্রীতি ও শান্তির প্রদীপটি জ্বালিয়ে দেওয়া৷ তিন দশক ধরে তারা এ কাজ করছেন৷ প্রতিবেশীরা উৎসাহ নিয়ে তাদের পুজো দেখতে ভিড়ও জমান৷
দেখতে আসেন জন্মাষ্টমীর সাজানো মঞ্চ৷ কোথাও কোনও বিভাজন নেই৷ ভিনধর্ম বলে কোনও অসূয়াও নেই৷ এই সম্প্রীতির নমুনাটুকুই তুলে ধরতে চেয়েছিল এই পরিবার৷ আর তাই এস আহমেদ বলেন, মন্দির-মসজিদ-গুরুদ্বারে ভগবানকে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে, নদী ভাগ হয়েছে, সাগর ভাগ হয়েছে, কিন্তু মনুষত্বকে ভাগ করে ফেলো না৷
সারা দেশে যখন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তখন ধর্মের সত্যিকার রূপ যেন দেখা গেল এই মুসলিম পরিবারের ধর্মচারণেই৷
সূত্র- সংবাদ প্রতিদিন
আরকে//