ঢাবিতে চলছে ১০ম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব
প্রকাশিত : ০৮:২২ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সোমবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি মিলনায়তনে চলছে দশম আন্তর্জাতিক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব।
রোববার (২ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ৪ঠা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এই উৎসবে জমা পড়া চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে ৭১টি দেশের নির্বাচিত ১০০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে দেখানো হবে এই আয়োজনে। চারটি আলাদা সেশনে বিভক্ত প্রথম দিনের প্রদর্শনী শুরু হয় সকাল ১১টায়, চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। দ্বিতীয় দিনের প্রদর্শনীতে দেখানো হয় রিফিউজিদের নিয়ে চলচ্চিত্র। উৎসবের সমাপণী দিনের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পরই অনুষ্ঠিত হবে এবারের বিজয়ী ঘোষণা এবং পুরষ্কার বিতরণী উৎসব।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের এই আয়োজনে ১০ম আসরের সহযোগিতায় রয়েছে ইউনাইটেড ন্যাশনস হাই কমিশনার ফর রিফিউজি (ইউএনএইচসিআর)। আর এই উৎসবে এবার যুক্ত হয়েছে ‘শর্টফিল্ম অন রিফিউজি’-শীর্ষক নতুন একটি ক্যাটাগরি।
এতে দেশ ছাড়াও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-নির্মাতারা অংশ নিয়েছেন। গত ২৯ এবং ৩০ আগস্ট, রাজধানীর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে উৎসবের দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
নতুন বিভাগ যুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি মীর রেজওয়ান মাহমুদ বলেন, যেকোনো ধরনের সংঘাত বা নিপীড়নের শিকার হয়ে স্বদেশ ত্যাগে বাধ্য হওয়া জনগোষ্ঠী-ই শরণার্থী। সাম্প্রদায়িক পরিচয়, জাতীয়তা, রাজনৈতিক মতবাদ, বর্ণ ইত্যাদি কারণে নিপীড়ন সংঘটিত হয়। শরণার্থী ও অভিবাসীদের মাঝে প্রধান পার্থক্য সূচক হয়ে দাঁড়ায় তাদের স্থান পরিবর্তনের স্বাধীনতা। সাধারণত একজন অভিবাসী অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন কারণে স্বেচ্ছায় একস্থান হতে অন্যত্র চলে যেতে পারেন, কিন্তু শরণার্থীদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত করা হয়। আমরা এই বাস্তুচ্যূত মানুষদের কথা চলচ্চিত্রে তুলে আনতেই ইউএনএইচসিআর-এর উদ্যোগে ‘শর্টফিল্ম অন রিফিউজি’ বিভাগটি এবার যুক্ত করেছি।
উৎসবের জমা পড়া চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আগ্রহী তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে কাজ করে থাকি। এবারের আয়োজনেও নতুন নির্মাতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।’
এর আগে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য ‘টেক ইউর ক্যামেরা, ফ্রেম ইউর ড্রিম’ শিরোনামে চলচ্চিত্র আহ্বান করা হয়। এতে তারা কম্পিটিশন ও প্যানোরমা বিভাগে তাদের সিনেমা জমা দেন।
প্রতিযোগিতা বিভাগের নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলো থেকে সেরা সিনেমা পাবে ‘জহির রায়হান শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার’ এবং শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশি পরিচালক পাবেন ‘তারেক মাসুদ সেরা উদীয়মান পরিচালক পুরস্কার’। দুটি পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে থাকবে ৩০০ ও ২০০ মার্কিন ডলারের প্রাইজমানি।
এছাড়াও সেরা ৩০জন পাবেন একটি ‘ট্যালেন্ট ক্যাম্পাস’ আয়োজনে অংশগ্রহণের সুযোগ। যেখানে দেশ ও দেশের বাইরের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বরা থাকবেন আলোচক ও প্রশিক্ষক হিসেবে। এর বাইরেও সেরা ৫০টি চলচ্চিত্র বাছাই করে সেগুলো প্রদর্শন করা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিদেশি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, টেলিভিশন চ্যানেল, সিনেপ্লেক্স ও উন্মুক্ত প্রদর্শনীতে।
কেআই/এসি