রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু
রাবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৯:৩৪ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সোমবার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে চলবে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাঁচটি ইউনিটে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি ইউনিটে ৩২ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। প্রাথমিকভাবে ৫৫ টাকা দিয়ে এক বা একাধিক ইউনিটে আবেদন করবে শিক্ষার্থীরা। সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে পছন্দের ইউনিটে নির্ধারিত ফিস দিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য পুণরায় আবেদন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২০১৭ ও ২০১৮ সালের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান, ডিপ্লোমা ইন কমার্স, বিএফএ, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক (ভোকেশনাল) ও উচ্চ মাধ্যমিক (ভোকেশনাল) ‘ও’ লেভেল ও ‘এ’ লেভেল এবং অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে আবেদনের জন্য মানবিক শাখা থেকে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ সহ মোট জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে।
বাণিজ্য শাখা থেকে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭.০০ এবং বিজ্ঞান শাখা থেকে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.০০ পেতে হবে।
এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় চূড়ান্ত আবেদনের জন্য ‘এ’ ইউনিটের জন্য ১২৫৪ টাকা ‘বি’ ইউনিটের জন্য ৭২৬ টাকা, ‘সি’ ইউনিটের জন্য ১২৫৪ টাকা, ‘ডি’ ইউনিটের জন্য ৯৯০ টাকা ‘ই’ ইউনিটের জন্য ১১২২ টাকা জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী যে ইউনিটে আবেদন করুক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যে শাখা থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে আবেদনের যোগ্যতার ক্ষেত্রে সেই বিভাগের শর্ত বিবেচ্য হবে।
আবেদন সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (http://admission.ru.ac.bd/undergraduate)
উল্লেখ্য, আগামী বছর থেকে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা লিখিত পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। তবে আগামী বছর থেকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে না।
কেআই/এসি