কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার মাছ চাষীরা পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হযে পড়েছেন
প্রকাশিত : ০২:৫৩ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০২:৫৩ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৬ বৃহস্পতিবার
কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে প্রায় ৭ হাজার পুকুর-জলাশয়-মৎস্য খামারের রেনু পোনা ও মাছ। স্থানীয় মৎস্য বিভাগের হিসাবে, ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকা। এদিকে গাইবান্ধার প্রায় তিনহাজার পুকুরের ২ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে বানের পানিতে। পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন দুই জেলার মাছ চাষীরা।
সাম্প্রতিক বন্যায় কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ৭ হাজার পুকুর ও জলাশয় থেকে মাছের পোনা ভেসে গেছে। সেই সঙ্গে ভেসে গেছে জেলার ১০ হাজার মৎস্য চাষীর স্বপ্ন।
এসব পুকুর ও জলাশয়ে হঠাৎ করেই ঢুকে পড়ে বন্যার পানি। নেটের জাল আর বানা দিয়েও মাছ রক্ষা করতে পারেননি চাষীরা। একদিকে ঋণের বোঝা অন্যদিকে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিন কাটানোর চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
তবে নতুন করে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ এবং মৎস্যচাষীদের পুর্ণবাসনের আশ্বাস দিয়েছে স্থায়ী মৎস্য বিভাগ।
এদিকে এবারের বন্যায় গাইবান্ধার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ ও সদর উপজেলার মৎস চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বানের পানিতে ২ হাজার ৯শ’ ৫১টি পুকুর ডুবে গেছে। পানির তোড়ে ভেসে গেছে এসব পুকুরের প্রায় ২ কোটি টাকার মাছ।
কোন কোন মৎস খামারী পুঁজি হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। কিভাবে শোধ করবেন দেনার টাকা ও ব্যাংক ঋণ এই নিয়ে মহাবিপাকে তারা।
সরকারিভাবে সহযোগীতা পেলে এই দুরবস্থা কাটিয়ে উঠা সম্ভব বলে মনে করছেন মৎস্য চাষীরা।