ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ডেমু ট্রেন নিয়ে চবি শিক্ষার্থীদের অভিযোগের শেষ নেই

জুবাইর উদ্দিন,চবি

প্রকাশিত : ০১:২২ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী সকাল  সাড়ে আটটার ডেমু ট্রেন ও শহরমুখী বিকাল তিনটার ডেমু ট্রেন নিয়ে চবি শিক্ষার্থীদের অভিযোগের শেষ নেই।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ  সিট খুবই কম,মাঝে মধ্যে ডেমু ট্রেন দেরি করে আসে। ট্রেন আসলেই যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। সিট না পেলে প্রায়  ৪৫ মিনিট দাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হয়। এক লাইনের জন্যে ক্যান্টনমেন্ট জংশনে অন্য ট্রেনটি আসার অপেক্ষায় অনেক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী তারেক রহমান বলেন, ৯টা ৫০ মিনিটে ক্লাস থাকায় প্রতিদিন ডেমুতে যাতায়াত করি। কিন্তু ডেমুতে এতো অতিরিক্ত ছাত্র ছাত্রী উঠে যেন মনে হয় শুটকি মাছ ভাজ করে রাখা হচ্ছে।

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গেলে দিনে কয়েকবার গোসল করতে হয়। সকালে একবার বের হই গোসল করে। ডেমুতে যাতায়াত করলে আরও কয়েকবার গোসল হয়ে যায়।

বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাত বলেন, এতো অপর্যাপ্ত সিট বসার জায়গা থাকে না। ঘেষাঘেষি করে যাতায়াত করতে হয়। ট্রেন  যখন ব্রেক করে তখন একের গায়ে অন্যজন পড়ে যায়। কখনও মেয়ে শিক্ষার্থীর উপর ছেলে!

ষোলশহর স্টেশন মাস্টার শাহাবুদ্দীন বলেন, ডেমু মুলত শিক্ষার্থীদের জন্য না। এটি শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য দেওয়া হয়েছিল। উনারা না যাওয়াতে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ডেমুতে বগি বৃদ্ধি করা সম্ভব না। এই তিনটি বগি দিয়েই ডেমু সীমাবদ্ধ থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর  আলী আজগর চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ডেমুটি বিশ্ববিদ্যালয়কে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। তবে এটা নির্ধারিতভাবে কারও জন্য দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত যে কেউ এই ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবে।

শাটলের সমস্যা সমাধান হলেও ডেমু নিয়ে কোনও সমাধান দেখা যাচ্ছে না। নিয়মিত নয়টি করে বগি নিয়েই যাতায়াত করছে শাটল ট্রেন। সিট ধরা বন্ধ করা, বহিরাগত যাতায়াত বন্ধ করতে শাটল কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।

একে//