শুরু হচ্ছে টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী
প্রকাশিত : ০৫:৪২ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার
ঢাকায় শুরু হচ্ছে টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। কনফারেন্স এন্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস্ লিমিটেড সেমস্ গ্লোবাল চার দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেমস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহরুন এন ইসলাম এ তথ্য জানান।
সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে তৈরি পোশাকখাতের সর্ববৃহৎ এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে থাকছে ‘১৯তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৮’, ‘১৪ তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন এন্ড ফেব্রিক শো-২০১৮’ এবং ‘৩৩ তম ডাই-ক্যাম বাংলাদেশ এক্সপো-২০১৮’। প্রদর্শনীতে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পের আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি, সুতা ও কাপড় উৎপাদক মেশিনারিজ, ডায়েস এবং বিশেষ রাসায়নিক দ্রব্যের বিশাল সমাহার থাকছে।
টেক্সটেক, ইয়ার্ন এন্ড ফেব্রিক শো এবং ডাই-ক্যাম একটি সিরিজ এক্সিবিশন, যা সেমস্ গ্লোবাল বিগত ১৯ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ, ব্রাজলি এবং শ্রীলংকায় আয়োজন করে আসছে।বিশ্বের প্রায় ২৫ টি দেশের, প্রায় ১২৫০ টি প্রতিষ্ঠান, ১৫০০ টি স্টলেরও অধিক এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছে।
প্রদর্শনীগুলো ভোক্তা এবং উদ্যোক্তাদের জন্য একটি যুগোপযোগী প্লাটফর্ম, যেখানে কার্যকরী যোগাযোগের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা আধুনিক প্রযুক্তি ও সেবার সাথে পরিচিত হতে পারবেন। ভোক্তা, উদ্যোক্তা, আমদানিকারক ও সরবরাহকারীদের সরাসরি সাক্ষাৎ এবং আলাপচারিতার এই সুযোগের ফলে সকলের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে উঠবে এবং নতুন ব্যবসায়কি খাত প্রসার করবে যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
গত অর্থবছরে এই শিল্পখাত হতে বাংলাদেশ ৩০ দশমিক ৬১ বিলিয়ন আয় করছে। যা বার্ষিক আয়ের ৮০ দশমিক ৭ শতাংশ এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২০১৬ সালে পোশাকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বৈদেশিক মার্কেট শেয়ার ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। ক্রমবর্ধমান এই বাজারে বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতিতে টেক্সটাইল ও বস্ত্র শিল্পের বৃদ্ধির যা একক উৎস্য।
উল্লেখ্য যে, সেমস্ গ্লোবাল ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠার পর হতে বিগত ২৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বহুজাতিক প্রদর্শনীর আয়োজক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে সংস্থাটি বিশ্বের ৭টি দেশে সেমস্ ইউএসএ, সেমস্ চায়না, সেমস্ ইন্ডিয়া, সেমস্ বাংলাদেশ, সেমস্ শ্রীলংকা এবং সেমস্ ব্রাজিল নামে নিজস্ব অফিস পরিচালনা করছে। পাশাপাশি আরো ১০টি দেশে অ্যাসোসিয়েট শাখার মাধ্যমে বছরে ৪০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করছে।
প্রদর্শনীগুলো প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রদর্শনী উপভোগের জন্য www.e-registrations.com ওয়েবসাইটে প্রি রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
আরকে//