কফির চুমুকে সময় কাটবে সুগার অ্যান্ড কো’তে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ০৮:৪৭ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:০৫ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার
বেশ কয়েক বছর ধরেই রেস্টুরেন্টে সময় কাটানো বেশ জনপ্রিয় বিনোদনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে রাজধানীবাসীর কাছে। রাজধানীবাসীর সেই বিনোদনের অভিজ্ঞতা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে বনানীতে চালু হয়েছে আন্তর্জাতিক বেকারী ও কফিশপ চেইন সুগার অ্যান্ড কো। সম্প্রতি কফিশপটি ঘুরে এসে প্রতিবেদন করেছেন শাওন সোলায়মান; ছবি তুলেছেন নুরে আলম।
বনানী ১১নং রোডের জেনেটিক পয়েন্ট ভবনের দ্বিতীয় তলার এই রেস্টুরেন্টটিতে প্রবেশ করা মাত্র অথেনটিক কফির সুঘ্রাণ পাবে কফি লাভাররা। ছিমছাম পরিপাটি আর নান্দনিক ডিজাইনে সাজানো আর ৪০-টিরও বেশি আইটেম থাকা কফিশপটি বন্ধুবান্ধব বা পরিবার পরিজন নিয়ে আড্ডা দেওয়ার জন্য হতে পারে দারুণ এক ভেন্যু।
রেগুলার চা ও কফির সাথে রেস্টুরেন্টটির মেন্যুতে থাকা কফির মাঝে আছে আমেরিকানো, কাপাচিনো, লাতে, ফ্লেভারড লাতে, ক্যাফে মকা, হোয়াইট মকা এবং হট চকলেট। দামও হাতের নাগালে। সর্বনিম্ন ১৫০টাকা থেকে ৩০০ টাকায় চুমুক দেওয়া যাবে কফির কাপে।
পেস্টি লাভারদের জন্য আছে পিনাট বাটার কাপ কেক, নিউটেলা কাপকেক, রেড ভেলভেট কাপকেক, কিটক্যাট কাপকেক, চিজকেক স্লাইস, অরিও চিজকেক, রেড ভেলভেট চিজকেক, চকলেট প্যারাডাইস এবং বানোফি পাই। দেড়শ থেকে তিনশ টাকায় স্বাদ নেওয়া যাবে মজাদার এসব পেস্ট্রির। এছাড়াও প্রতিদিন দুইটি ভিন্ন ভিন্ন সিগনেচার ডেজার্ট আইটেম থাকে এখানকার মেন্যুতে।
রেস্টুরেন্টিতে ব্যাংকার সহধর্মিণী সুমাইয়া সুলতানাকে নিয়ে কফি খেতে এসেছিলেন ব্যবসায়ী শফিকুল হক। তিনি জানান, ফেসবুকের একটি গ্রুপে সুগার অ্যান্ড কো নিয়ে একটি পোস্ট দেখে এখানে আসেন তিনি। শফিকুল হক বলেন, “সন্ধ্যার সময় তাই ভারী কিছু খেতে ইচ্ছে হচ্ছিল না। কোথাও বসে হালকা কিছু খেতে ইচ্ছে হচ্ছিল। তখনই ফেসবুকে এই কফিশপটার ইতিবাচক রিভিউ দেখি। ছবিতে এর ইন্টেরিওরটাও বেশ ভালো লাগে। তাই চলে আসি”।
আর সুয়ামিয়া সুলতানা বলেন, “শুধু কফি খাবো ভেবে আসলেও পেস্ট্রিগুলোর আকর্ষণীয় স্লাইস দেখে সেগুলোর স্বাদ আর না নিয়ে পারলাম না। বেশ পরিপাটি, খোলামেলা হওয়ার পাশাপাশি এর খাবারের মান বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। দামও মডারেট”।
ধাঁচে কফিশপ বা বেকারী হলেও অন্যান্য বিভিন্ন ধরণের খাবারও পাওয়া যায় শ’স স্টেক হাউজের সিস্টার কর্নসার্ন সুগার অ্যান্ড কো’তে। রেস্টুরেন্টটির সিগনেচার ডিশের মধ্যে অন্যতম মাশরুম স্টেক। দাম পরবে এক হাজার ২৫ টাকা। এছাড়াও আছে চিকেন পারমিজান, বারবিকিউ চিকেন, গ্রিলড ক্যাজুন স্পাইসি চিকেন, মাশরুম পিকাতা এবং চিকেন কর্ডন ব্লিউ। সী-ফুড লাভারদের কথা বিবেচনায় রেখে মেন্যুতে রাখা হয়েছে গ্রিলড ফিশ ফিলে এবং ফিশ অ্যান্ড চিপস। ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় পাওয়া যাবে এক একটি ডিশ।
এছাড়াও আছে পিঁজা, পাস্তা, স্যান্ডউইচ, বার্গার, সালাদ ও ওয়েফার আইটেম। পাশাপাশি যারা সকালের নাস্তা করতে চান তাদের জন্যও প্রতিদিন সকালে থাকছে বিশেষ আয়োজন। আর চলতি গরমের মৌসুমে ঠান্ডা ড্রিংকসে গলা ভেজানোর জন্য সাধারণ কোমল পানীয়র পাশাপাশি আছে সিগনেচার বানানা শেক, ব্লু ওশন, ভার্জিন মোজিটো এবং সুগার অ্যান্ড কো ম্যাঙ্গো ব্লাস্ট এর মতো মকটেল আইটেম।
কফিশপটির সম্পর্কে এর কর্ণধার বিশ্ব সাজ্জাদ বলেন, “এটা একটা নতুন কনসেপ্ট। বেকারী অ্যান্ড কিচেন একসাথে। তবে আমাদের ফোকাসটা থাকছে কফি, ডেজার্ট এবং স্ন্যাকসের দিকে। আর আমরা দেখেছি যে, মানুষ এখন শুধু খাওয়ার জন্যই কোন রেস্টুরেন্টে যায় না। বরং রেস্টুরেন্ট বাছাই করার সময় তার পরিবেশ, বসার জন্য সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট এগুলোর দিকে নজড় দেয়। আমরাও আমাদের রেস্টুরেন্টটিকে সেভাবে সাজিয়েছে। এখানে বসে আড্ডা দেওয়ার বা ছোট গেট টুগেদার করার অথবা কোন মিটিং করার জন্য দারুণ এক জায়গা এটি। এখানে আসলে আমাদের অতিথিরা খুব রিল্যাক্সড ফিল করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।”
ভবিষ্যতে এই কফিশপটির আরও শাখা চালু করা হবে বলেও জানান বিশ্ব সাজ্জাদ।
//এস এইচ এস//