ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

ঈদের ছুটির পর আবারও জমে উঠেছে মাভাবিপ্রবি ক্যাম্পাস 

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:০২ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে শিক্ষার্থীদের গান-গল্প আড্ডায় আবারও মুখর হয়ে উঠেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)।  

প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। অনেকদিন পর ক্যাম্পাসে ফিরে শিক্ষার্থীরা যেন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় গল্পে পুনর্মিলনীর আনন্দ ভাগাভাগি নিয়ে মেতে আছেন।

বাসের সিট ধরার প্রতিযোগিতাও পুনরায় শুরু হয়েছে। স্বপ্ন চত্বর, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, মুক্তমঞ্চ, শহীদ মিনার চত্বর, বুদ্ধিজীবী চত্বর, বিজয়াঙ্গন চত্বর সব যেন আবার ফিরে পেয়েছে তার যৌবন।  

সুন্দর একটি জীবন গড়ার জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে পরিবার-পরিজন ছেড়ে এসে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে তাদের কাছে ঈদের আনন্দটা একটু ভিন্ন। প্রায় সব সময়ই কোন না কোন ক্লাস, পরীক্ষা, এসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশনের চাপে থাকতে হয়। হৃদয়ে লালন করা হাজারও স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সর্বদাই বিরামহীন ছুটে চলা। ছুটতে ছুটতে এক সময় পেয়ে বসে রাজ্যের ক্লান্তি। ক্লান্ত-শ্রান্ত মন চায় একটু বিশ্রাম। ছুটে যেতে চায় চেনা মুখগুলোর কাছে।  

সবুজ- শ্যামল গ্রামের চিরচেনা মেঠো পথ ধরে হাঁটতে। পেতে চায় স্নেহময়ী মায়ের হাতের পরশ, যে পরশে রয়েছে পৃথিবীর সকল ক্লান্তি দূর করার যাদু। ইচ্ছে করে পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে আনন্দ-উল্লাসে কিছুটা সময়ের জন্য হারিয়ে যেতে। তাই ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়া, টিকিট কাটা, কাপড়-চোপড় গোছগাছ করা, সব রকম ঝক্কিঝামেলা পেরিয়ে ঘরে ফেরাটা যেন এক রকম উৎসবের মতোই কাজ করে। কিন্তু সবকিছু ছেড়েছুড়ে আবারো আসতে হয় ক্যাম্পাসে। আবারো শুরু হয় নিত্যদিনের ব্যস্ততা।   

সিপিএস বিভাগের শিক্ষার্থী রাহাত সিকদার তেমনটাই বলছিলেন, ঈদের ছুটির পর ক্যাম্পাস খোলা মানেই হলো সেই বার স্বপ্নের দুনিয়া থেকে বাস্তবতায় ফিরে যাওয়া। যেখানে কেবল এটেন্ডেন্স, প্রেজেন্টেশন, এসাইনমেন্ট বসবাস করে। কেমন যেন একঘেয়েমি পেয়ে বসে। আবার কখন ছুটি পাবো। সেই অপেক্ষায় থাকা।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা মৌ বলেন, বাড়ি থেকে আসতে মন চাইছিল না একদমই। ইচ্ছে করছিল যেন আরও কিছুটা দিন থাকি। কিন্তু তা আর সম্ভব কি করে? ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ দিয়েছে। কষ্ট হচ্ছিল। তবুও চলে আসলাম।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রিফাদ আহমেদ বলেন, প্রিয় ক্যাম্পাস ছাড়া আমার ভালো লাগে না। যদিও বাড়ির ক্ষেত্রটা ভিন্ন। এখানে ক্লাস, বন্ধুদের সাথে ঘুরা, গান, আড্ডা সবকিছু আমাকে যেন সর্বদা আচ্ছন্ন করে রাখে। ক্যাম্পাসে ফিরতে পারলেই আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি।

এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ইতোমধ্যে হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী চলে আসতে শুরু করেছে। শিক্ষার্থীদের আগমনের ফলে আবাসিক হল এলাকা এখন সর্বক্ষণিক মুখরিত ও প্রাণবন্ত।  

কেআই/এসি