পর্দা নামলো ১০ম আন্তর্জাতিক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র উৎসবের
প্রকাশিত : ১০:১৬ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:১৭ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার
পর্দা নামলো ১০ম আন্তর্জাতিক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের। আজ মঙ্গলবার শেষ হয় “টেইক ইয়োর ক্যামেরা, ফ্রেইম ইয়োর ড্রিম” স্লোগানের এবারের আয়োজন। চলচ্চিত্র উৎসবটির আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ। উৎসবের শেষ দিনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আসরের সেরা চলচ্চিত্র "জহির রায়হান বেস্ট শর্ট" নির্বাচিত হয়েছে রোমানিয়ান পরিচালক এলেনা সায়ালাকিউ নির্মিত চলচ্চিত্র `দি লিটল হিরো`। "তারেক মাসুদ বেস্ট ইমার্জিং ডিরেক্টর" পুরষ্কার জিতে নিয়েছে বাংলাদেশী নির্মাতা নীলা নুসরাত এর "মাগনা" চলচ্চিত্রটি। "বেস্ট শর্ট ফিল্ম অন রিফিউজি" নির্বাচিত হয়েছে সার্বিয়ান পরিচালক আলেকজান্ডার আলেকজিক এর চলচ্চিত্র "অ্যানিহোয়্যার"। এই ক্যাটাগরিতে রানার-আপ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশি নির্মাতা মৃত্তিকা কামাল এর "এস্কেইপ"।
এছাড়া "বেস্ট ডিরেকশন" এর জন্য নির্বাচিত চলচ্চিত্র যুক্তরাষ্ট্রের "কানেক্টেড"। "বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফি" পুরষ্কার পেয়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র "দি মোন"। "বেস্ট এডিটিং" এর জন্য যুগ্মভাবে নির্বাচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র "কানেক্টেড" এবং "ম্যারিপোসাস"। বাংলাদেশী চলচ্চিত্র "ইজ ইট গুড টু রান অ্যাওয়ে?" নির্বাচিত হয়েছে "বেস্ট স্ক্রিনপ্লে" এর জন্য। জার্মান চলচ্চিত্র "ড্রাউনিং" পেয়েছে "বেস্ট অ্যানিমেশন" বিভাগের পুরষ্কার।
উৎসবের শেষদিনে টিএসসি অডিটোরিয়ামে সমাপনী অনুষ্ঠান ও বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন "ইউএনএইচসিআর" এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পাপা কিসমা সিলা, চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম এবং শামীম আখতার। আরও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র গবেষক জোনায়েদ হালিম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আব্দুস সামাদ।
প্রধান অতিথির ভাষণে মন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, “আমাদের দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতারা অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। সরকারে প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতাকে তার প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাগুলো দিয়ে সহায়তা করা।"
বিগত দশ বছর ধরে নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক মানের এই আয়োজন করার জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এই আয়োজনে সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এবারের উৎসবে সহযোগিতায় ছিল জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা- ইউএনএইচসিআর। এইবছর উৎসবে "শর্ট ফিল্ম অন রিফিউজি" শীর্ষক একটি নতুন ক্যাটাগরি যুক্ত হয়েছে।
ইউএনএইচসিআর এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পাপা কিসমা সিলা তার বক্তব্যে চলচ্চিত্রকে একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে অভিহিত করে বলেন, "চলচ্চিত্রের মাধ্যমে যেকোনো বার্তা সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছায়। আমরা এরকম একটি আয়োজনে সহযোগী হতে পেরে আনন্দিত। শরণার্থী বিষয়ক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলোতে শরণার্থী পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক মানুষের সামনে উঠে এসেছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সরকার বলেন, "এই চলচ্চিত্র উৎসবটি দেশী- বিদেশী তরুণ নির্মাতাদের জন্য একটি বিরাট সম্ভাবনাময় প্ল্যাটফর্ম। আমাদের সংগঠন এইরকম একটি উৎসবের আয়োজক হতে পেরে গর্বিত। অংশগ্রহনকারী সকল নিমার্তা এবং আয়োজনের সাথে যুক্ত সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।"
আজ উৎসবের শেষদিনের আয়োজনে ৩টি সেশনে মোট ৩৩টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে।
//এস এইচ এস//