কাশ্মীরের প্যাহেলগাম খ্যাত গুলিয়াখালি বিচ [ভিডিও]
আবুল হাসনাত
প্রকাশিত : ০১:৩৮ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৭:৪৪ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার
প্যাহেলগাম। ভূ-স্বর্গখ্যাত কাশ্মীরে নদী আর উপত্যকাশোভিত নয়নাবিরাম সৌন্দর্যের এক লীলাভুমির নাম। চোখ বুঝতে মন চায় না যার সৌন্দর্যে। এতো কাশ্মীরের কথা। আমরা বলছি বাংলাদেশের প্যাহেলগাম এর কথা। হ্যা, চারদিকের সবুজ শ্যামলিম রূপ দেখে কাশ্মীর ফেরৎরা গুলিয়াখালি সৈকত এলাকাকে মেলাচ্ছেন কাশ্মীরের প্যাহেলগাম-এর সাথে। এখানে বেড়াতে আসা প্রকৃতি প্রেমিদের কথা, চারদিকের সবুজ ম্যানগ্রোভ যেন সুন্দরবনের রূপ। কারো কারো মত, দেশে এমন সবুজ সৈকত আর দ্বিতীয়টি নেই। কেউ আরো এগিয়ে বললেন, এমন প্রকৃতি নেই আর পৃথিবীর কোথাও।
এসব বর্ণনা আর বন্দনা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গুলিয়াখালি সৈকতে আসা মানুষদের। সবুজ গালিচার ন্যায় বিস্তৃত ঘাস। বিচের পাশ ঘেষে প্রাকৃতিকভাবে তৈরী অসংখ্য আঁকাবাঁকা নালা। যেগুলোকে মনে হয় সবুজের মাঝে ছোট ছোট দ্বীপ। যা বিচকে দিয়েছে ভিন্নতা। যা মোহিত করে ভ্রমণ পিয়াসুদের। সব মিলিয়ে প্রকৃতির হাতে গড়া নতুন বিস্ময় বলা চলে সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী বিচকে। প্রতিদিন এখানে বাড়ছে সারাদেশ থেকে আসা ভ্রমণপিয়াসু মানুষের ঢল। তারাই এই বিচকে নানা বিশেষনে বিশেষায়িত করছে। করছে গুণকীর্তণ।
সীতাকুণ্ড এমনিতেই প্রাকৃতিকভাবে সৌন্দর্যমণ্ডিত। পূর্বে সুউচ্চ চন্দ্রণাথ পাহাড়। পশ্চিমে সন্দ্বীপ চ্যানেল। মাঝখানে যেন প্রকৃতির হাতে গড়া সবুজের চাদরে মোড়া গুলিয়াখালি সৈকত। যেখানে জোয়ারের সময় দেখা মেলে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আর গর্জন, পাশের কেওড়া বন যেন সুন্দরবনের প্রতিচ্ছবি। ফলে গত এক বছরে সীতাকুণ্ডের অন্যসব পর্যটন স্পটকে পেছনে ফেলে এখান সবার মুখে এই গুলিয়াখালীর নাম। শুধু সীতাকুণ্ডের নয়, ভ্রমণ পিয়াসু মানুষদের আকর্ষণে নানাসব উপদান থাকায় দেশের অন্যতম আকর্ষনীয় পর্যটন স্পট হতে চলেছে এই বিচ।
বাংলাদেশের প্যাহেলগাম খ্যাতিপাওয়া গুলিয়াখালি সৈকতের ইতিহাস বেশি দিনের নয়। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেল, মাত্র তিন বছর আগেও বর্তমান সৈকতের রূপ এমন ছিল না। এখন যেখানে সবুজের চাদরে ঢাকা, তা ছিল মাটি আর বালির সৈকত পাড়। ছিল, এখানে সেখানে নানা উচ্চতার কেওড়া বাগান। যার আশেপাশে ফুটবল খেলায় মেতে উঠতো স্থানীয় যুবক কিশোররা। ছ’ সাত বছর আগ থেকে এখানকার কেওড়া বাগানের গাছ রাতের আধারে কাটা পড়তে থাকে। কমতে থাকে গাছ। তিন-চার বছরের মধ্যে হ্রাস পায় কেওড়া গাছের সংখ্যা। বিপরীতে ক্রমান্বয়ে জেগে উঠতে থাকে নতুন সম্ভাবনা। সবুজ গালিচার ন্যায় ঘাস বিস্তৃত হয়ে সবুজে আচ্ছাদিত হয়ে ওঠে উপকূলের বর্তমাণরূপ। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয় অসংখ্য নালা আর গর্ত, যা দেখতে মিনি সবুজ দ্বীপ মনে হয়। ফলে তা হয়ে ওঠে মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী উপকূলে দেশের জনপ্রিয় সৈকত। যাকে প্রকৃতির দান বলছে স্থানীয় মানুষ। এতসব বিবর্তন মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে।উত্তর-দক্ষিণে বিশাল মাঠ আর কিছুদূর পরপর সারিহীন গাছের বাগান। মাঝখানে আঁকাবাঁকা গুলিয়াখালী খাল। খালের উত্তরে ঘণ কেওড়াগাছের সবুজ ম্যানগ্রোভ বন, যেন সুন্দরবনের আরেক রূপ। যা এই বিচকে করেছে অতুলণীয়। সবুজ ঘাসের বুকে শুয়ে বা বসে সাগরের ঢেউয়ের গর্জন আর বাতাসের শীতলতা, যে কাউকে দেবে অন্য রকম এক প্রশান্তি। উন্মুক্ত প্রান্তর জুড়াবে চোখ। যার আবেশ থাকবে বহুদিন। সবুজ ঘাসের ওপর দিয়ে জোয়ারের মিতালী। ঘাসের গালিছা গড়িয়ে ভাটার টানে আবার জোয়ারের পানি সাগরে মিলিয়ে যাওয়ার বিরল দৃশ্যও চোখে পড়বে এখানে। কেউ কেউ বলছে, যা আছে শুধুমাত্র এই সৈকতেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণেই মূলতঃ সারাদেশে পরিচিতি পায় এই বিচ। বলতে হবে সীতাকুণ্ড তথা চট্টগ্রামের বাইরের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্রমণ প্রিয় শিক্ষার্থী আর তরুণদের নিয়ে গড়ে উঠা ট্যুরগ্রুপেরই কৃতিত্ব এই পরিচিতিতে। যেমন তারা ইতিপূর্বে বাঁশবাড়িয়া বিচসহ সীতাকুণ্ড পাহাড়ের বিভিন্ন ঝর্ণাগুলোও তুলে ধরেছে ফেসবুক বা ভ্রমণ ভিত্তিক ওয়েবসাইটে।
তবে স্থানীয় যুবকদের দাবী ২০১৫ সাল থেকে তারাই ফেসবুকে এটার প্রচারণা করে যাচ্ছে, ক্রমেই জনপ্রিয় করেছে দেশের মানুষের কাছে। মূলত: প্রচার-প্রচারণা থেকেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সীতাকুণ্ডের সব পর্যটন স্পট। ফলে সীতাকুণ্ড সদরে এখন হর হামেশা চোখে পড়ে ভ্রমণকারী ট্যুরিস্ট গ্রুপের দল। তাদের প্রায় সবাই তরুণ, তারা কোনা কোন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থী। যা সীতাকুণ্ডের পর্যটন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে।
এখানে আসা প্রকৃতি প্রেমিরা বলছেন, চারদিকের সবুজ ম্যানগ্রোভ যেন সুন্দরবনের দৃশ্য। কারো কারো মত দেশে এমন সবুজ সৈকত আর দ্বিতীয়টি নেই। কেউ বলছেন, এমন প্রকৃতি নেই পৃথিবীর আর কোথাও।
এসব বর্ণনা আর বিশেষণ সীতাকুণ্ডের অনিন্দ্য সুন্দর গুলিয়াখালি বিচের, দেশের বিভিন্ন প্রান্থ থেকে আসা প্রকৃতি প্রেমী আর ভ্রমণ পিয়াসু মানুষের।
ফিরে আসি গুলিয়াখালি বিচে। বিচ বা সৈকতের বর্ণনায়। উপকূলীয় ভেড়িবাঁধ থেকে দশ-পনের মিনিট হাঁটতে হবে। সমুদ্রে জোয়ার থাকলে যাওয়া যাবে ইঞ্জিন বোট বা নৌকায়। সময় চার-পাঁচ মিনিট। পায়ে হাঁটা পথটা বর্ষায় বেশ পিচ্ছিল আর কাঁদাময়। সবার পক্ষে স্বাভাবিক হেঁটে যাওয়া কঠিন। পথে আছে সাঁকো আর কয়েকটা পুলও। পথের সব কষ্ট মুহূর্তেই আপনি ভুলে যাবেন, যখন পা রাখবেন সবুজ ঘাসের গালিচাময় সৈকতে।
প্রকৃতির নতুন বিস্ময় বললে ভুল হবে না মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালি বিচকে। যেখানে প্রতিদিন সারাদেশ থেকে আসছে মানুষ। ভ্রমণপিয়াসুরা সৈকত দেখে মুগ্ধ হন। তারাই একে নানা বিশেষনে বিশেষায়িত করছেন।
ফেনী থেকে স্ত্রী ও শ্যালককে নিয়ে আসেন আশরাফুল। বল্লেন, বন্ধুদের মাধ্যমে জেনেছেন এই বিচের খবর। সামান্য দেখেই বলে ফেল্লেন, এমন স্থান তিনি গত দশ বছরে দেখেন নি। কাঁদাপথ মাড়িয়ে বিচে যাওয়া, সাগর থেকে জেলেদের মাছ ধরে ফেরার দৃশ্য তাকে মুগ্ধ করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ বন্ধুকে নিয়ে আসেন তানভীর হাসান। রাতে ছিলেন সীতাকুণ্ড সদরের আবাসিক হোটেলে। সকালে চন্দ্রনাথ পাহাড় ঘুরে দুপুরে গুলিয়াখালী সৈকতে। দেখেছেন অন্যরকম সমুদ্র, সমুদ্রের স্রোত আর গর্জন, যা তাকে মুগ্ধ করেছে। তার মনে হয়েছে অন্য বিচের চেয়ে এটি আলাদা।
তার সাথের আরেক বন্ধু ইফফাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর এর শিক্ষার্থী। তার কাছে এই বিচ একেবারে ভিন্ন, যেখানে কাঁদা মিশ্রিত সৈকত। বিচের সবুজ শ্যামল পরিবেশ, মাঝখানে ক্ষুদ্রকৃতির হাজারো দ্বীপ মোহিত করেছে তাকে।
আরেক দর্শনার্থী আরিফুল এসেছেন বন্ধুদের নিয়ে। তার মত, অন্যান্য বিচ থেকে এটা আনকমন। চারদিকে সবুজ গাছপালা, একই সাইজের ছোট সবুজ ঘাস, সবুজ ঘাষের বুকে ছোট ছোট অসংখ্য গর্ত পুরো এলাকাকে করেছে দারুণ। তার কণ্ঠে উচ্ছারিত হলো ‘ অসাধারণ একটা জায়গা এটা।’
চট্টগ্রামের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল প্রেসিডেন্সী ইন্টারন্যাশনাল। এই স্কুলের একদল শিক্ষিকা গুলিয়াখালীর
সৌন্দর্য়ের বর্ণনা শুনে এখানে আসেন। কথা হয় শিক্ষিকা ইসরাত জাবিন চৌধুরীর সাথে। বলেন, কক্সবজারের বিচের চেয়ে এখানকার বিচ ব্যতিক্রম। এখানকার সবুজ লোকেশন কক্সবাজারে নেই। কক্সবাজারের মতো পর্যটকের ভীড় না থাকায় কোলাহলমুক্ত পরিবেশ ভালো লেগেছে, এই শিক্ষিকার। কিন্তু তার কাছে আসার পথটা নিয়ে আছে অভিযোগ। কাঁদা পিচ্ছিল পথ। সরকারের কাছে দাবী এসব সংস্কারের। তাহলে পর্যটক বাড়বে এখানে, তার আশা।
একই স্কুলের গণিত এর শিক্ষিকা মুসাররাত জাবিন।ট্রাভেলারস অব বাংলাদেশ নামে একটি ভ্রমণ গ্রুপের সাথে যুক্ত। দেশের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও ভ্রমণ করেছেন ভারত ও সিঙ্গাপুর। গুলিয়াখালির দৃশ্য দেখে তার মনে হয়েছে, এটি নদী-উপত্যকাশোভিত কাশ্মীরের প্যাহেলগাম এর মতো। চারদিকের সবুজ ম্যানগ্রোভ যেন আরেক সুন্দরবন। বলেন, একটি জাতীয় পত্রিকায় এখানকার বিবরণ দেখে বেড়াতে এসেছেন। সিলেটের বিছানাকান্দির রূপও আছে গুলিয়াখালি বিচে। এসব দেখে তিনি ভুলে গেছেন পথের কষ্ট, ক্লান্তি।
একই স্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষিকা সানজিদা হক। বল্লেন, এখানকার প্রকৃতির সাথে আর কোন জায়গার তুলনা হয় না। উচ্চসিত কণ্ঠে বললেন, যখন এখানে পা রাখি তখন কাশ্মীরের সাথে কোন পার্থক্য আমি খুঁজে পাইনি। সবকিছু এত সুন্দর, এত প্রাকৃতিক। তাঁর অভিযোগ, আসার কর্দমাক্ত যে পথ তিনি মাড়িয়ে এসেছেন, তা খুবই প্যাথিডিক মনে হয়েছে তার কাছে। তবে আসার পর প্রকৃতি দেখে সব কষ্ট ভুলে গেছেন এই শিক্ষিকা। পথ সংস্কারে প্রশাসনের নজর কামণা করেন তিনি। আরেক শিক্ষিকা। তারও অভিযোগ আসার পথটা নিয়ে। বল্লেন, ওই জায়গাটা যদি সংস্কার হতো, আরো বেশী মানুষ এখানে আসতে পারতো। দেখতে পারতো, কতো সুন্দর আমাদের দেশটা।
শোয়েব ফারুকী, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী, যিনি ফটোগ্রাফীর জন্য ঘুরে বেড়ান নানা দেশ, তিনিও মুগ্ধ এখানকার রূপ দেখে। তাঁর কথা, আমি প্রকৃতি প্রেমী, সবুজের সাথে এই বিচ, চা-বাগান সদৃশ ইউনিক বিচ দেশেতো নয়, বিশ্বের অনেক দেশ ঘুরেও দেখিনি। তাই এটাকে এক্সপ্লোর করা আমাদের সবার দায়িত্ব। সরকারের দায়িত্ব।
এক কিশোরী, কাঁদাপথ মাড়িয়ে অনেক কস্টে এসেছেন মা-বাবার সাথে। তারপর তার কথা,‘জায়গাটা অনেক সুন্দর।’ তার একটাই চাওয়া, ‘রাস্তাটা যদি একটু ঠিক করা হতো।’
স্থানীয় গুলিয়াখালি গ্রামের সন্তান শাহজাহান সালেহ। থাকেন সৌদি আরবের দাম্মামে। এসেছেন ঈদে দেশের বাড়ীতে। এই বিচ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণায় সরব থাকেন প্রবাসেও। তার মতে এমন বৈচিত্রময় উপকূল কোথাও মিলবে না। তাঁর ভাষায়, এখানে আছে, ছোট ছোট সবুজ অসংখ্য ম্যাক্রো আইল্যান্ড বা দ্বীপ। প্রতিটি গর্তে জোয়ারের নির্মল পানি। জোয়ারের সময় সবুজ গাছ আর পানির মিতালী পাওয়া যাবে না পৃথিবীর কোথাও।
ষাটোর্ধ স্থানীয় নোয়া মিয়া। পেশায় ঠিকাদার। এই বয়সেও যেন প্রেমে পড়েছেন সবুজ শ্যামলিম গুলিয়াখালী বিচের। তিনি বলেন, এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে পর্যটক বাড়বে, বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়। এ জন্য দাবী জানান সরকারের কাছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নূরুল আমিন শফি। জানান, ২০১৫ সাল থেকে এখানে পর্যটক আসা শুরু হয়। তখন থেকে ইউনিয়ন পরিষদ এবং গ্রামের সবাই সতর্ক পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ সব ব্যাপারে। দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য গুলিয়খালী গ্রামের একমাত্র সরুপথটি সম্প্রসারণ, টয়লেট, ওয়াশরুম তৈরী, টিউবঅয়েল স্থাপন, বিদ্যুতায়নসহ বিচের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
সীতাকুণ্ড সামতি-চট্টগ্রাম এর সভাপতি লায়ন মোঃ গিয়াস উদ্দিন। বলেন, এই বিচ দেখে আমি মুগ্ধ। কুয়াকাটা এবং পার্কি বিচ থেকে শতগুন সৌন্দর্যমন্ডিত এই গুলিয়াখালি। যা ভ্রমণ পিপাসুদের তৃপ্তি দেবে। তাঁর আহবান, যারা দেখেননি, তারা যেন একবার বিচ ঘুরে যান। গুলিয়াখালি বিচকে সরকারী স্বীকৃতি দেয়ার জন্য গত ফেব্রুয়ারীতে সীতাকুণ্ড সমিতি পর্যটন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার কথা জানিয়ে বলেন, এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হলে বাংলাদেশের অন্যতম বিচে রূপ নেবে। যাদের কক্সবাজার যাবার সুযোগ-সামর্থ্য নেই তারা এখানেই পাবেন সেই স্বাদ।
ট্যুরিস্ট পুলিশ এর এডিশনাল ডিআইজি মুহাম্মদ মুসলিম। সস্ত্রীক আসেন বিচ দেখতে। যেন রথ দেখা আর কলা বেচা। দায়িত্বের খাতিরে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে বলেন কথা। তিনি আশ্বাস দেন, আগামী শীত মৌসুমের আগেই গুলিয়াখালী, সীতাকুণ্ড ও আশপাশের পর্যটন স্পটগুলো ট্যুরিস্ট পুলিশের নজরদারীতে আনার।
সব মিলিয়ে বলা যায়, আগামীতে সীতাকুণ্ড হতে যাচ্ছে পযটনের নতুন গন্তব্য। গুলিয়াখালি সৈকত এলাকা হবে চট্টগ্রাম অঞ্চলে অন্যতম আকর্ষনীয় পর্যটন স্পট।
এখন প্রয়োজন অবকাঠামোগত উন্নয়ন। পর্যটকদের যাতায়াত, নিরাপত্তাসহ আনুষাঙ্গিক সুবিধা নিশ্চিত করা। যার জন্য প্রয়োজন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা। প্রয়োজন গুলিয়াখালি সৈকতকে পর্যটন স্পট ঘেষাণা করা।