ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

রিচি সোলায়মানের দিনকাল 

প্রকাশিত : ০৬:৪৪ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৭:২০ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

ছোট পর্দার অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী রিচি সোলায়মান। ডাগর চোখ আর মায়াময় হাসি দিয়ে তিনি দর্শকদের আটকে রেখেছিলেন টিভি সেটের সামনে। দীর্ঘ দিন থেকে তিনি অভিনয়ে অনিয়মিত। তবে গেল ঈদে তাকে আবার দেখা গেছে টিভি পর্দায়। নাটক ও টেলিছবিতে তিনি ধরা দিয়েছেন নতুন রুপে।  

রিচির স্বামী রাসেক মালিক থাকেন আমেরিকায়। সেই সুবাধে দুই সন্তান নিয়ে তিনি থাকেন সেখানে। মাঝে মাঝে তিনি দেশে আসেন। তখন পছন্দ অনুসারে কিছু নাটকে অভিনয় করেন। এবারের ঈদেও রিচি বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেন। চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় নাটক `স্বপ্নগুলো তোমায় খোঁজে`, `তোমার আমার কথা`, টেলিছবি `চাঁদের আলোয়`, সারওয়ার রেজা রিমির রচনা ও তুহিন হোসেনের পরিচালনায় নাটক `ঠিকানা`, আশরাফুল চঞ্চলের রচনা ও মারুফ মিঠুর পরিচালনায় `১০০`, তানিয়া হোসেনের `গৃহভৃত্য`সহ আরও কিছু নাটকে তাকে পাওয়া গেছে। এ কাজগুলোর মাধ্যমে রিচি আবারও তার নিজের জাত চিনিয়েছেন।

এছাড়া কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকেও তিনি অভিনয় করছেন। রহমতুল্লাহ তুহিনের পরিচালনায় `নিউইয়র্ক থেকে বলছি`, আজাদ আবুল কালামের রচনা ও রুলীন রহমানের পরিচালনায় `রোড নং ৭, বাড়ী নং ১৩` ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন তিনি। ধারাবাহিক দুটি যথাক্রমে দীপ্ত টিভি ও বাংলাভিশনে প্রচার হচ্ছে। যদিও `নিউইয়র্ক থেকে বলছি` ধারাবাহিকের বেশিরভাগ শুটিং নিউইয়র্কেই শেষ করেছেন রিচি।

রিচি বলেন,‘ অভিনয়ে আমি নিয়মিত নই, এরপরও অভিনয়ের মধ্যেই কিন্তু আমি রয়েছি। যখনই দেশে থাকি যত কাজই থাকুক না কেন ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। এমনকি যখন আমেরিকা থাকি তখনও সুযোগ পেলে অভিনয় করি। অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা আছে বলেই কখনোই মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে পারি না।’

রিচির ইচ্ছা ছিল তার নানীর সঙ্গে ঈদ করার তাই এবারের ঈদে স্বামী রাসেক মালিক, তার দুই সন্তান রায়ান রিদওয়ান মালিক ও কন্যা ইলমা রায়া মালিককে নিয়ে চলে যান রংপুর নানীর বাড়িতে। চার প্রজন্মের চারজনকে একই ফ্রেমে বন্দি হয়ে সবাই যেন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন।

রিচি বলেন, `আমার কোল জুড়ে যখন আমার কন্যা ইলমা এলা, তখন থেকেই নানির ইচ্ছে ছিল যেন একটি ঈদ তার সঙ্গে করি। আমিও নানিকে কথা দিই তার সঙ্গে ঈদ করার। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। আবার আমরা চার প্রজন্ম একই ফ্রেমে বন্দি হলাম। এটাও আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া, অনেক অনেক ভালো লাগার। এই ভালো লাগা ব্যাখ্যা করে বোঝানো সম্ভব নয়। আজ আব্বু বেঁচে থাকলে অনেক খুশি হতেন। আব্বুর শূন্যতাটা প্রতি মুহূর্তে ভীষণ মিস করি।`
 
এসি