ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৯ ১৪৩২

ঝগড়ায় বাড়ে বুদ্ধি: গবেষণা

প্রকাশিত : ০৭:০৬ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার

ঝগড়া পছন্দ করেন বর্তমান সময়ে এমন মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নেই। প্রায় সবাই চায় ঝগড়া এড়িয়ে চলতে।

বাড়িতে তো নয়, কর্মক্ষেত্রেও আমরা কেউ ঝগড়া ঝাটি পছন্দ করি। সম্পর্ক নষ্ট করতে চান না বলে অনেকেই নিজের অসন্তোষ চেপে যান। এটা কিন্তু একেবারেই ভুল একটা কাজ, জানিয়েছেন হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ গাইড টু ডিলিং উইদ কনফ্লিক্ট অ্যাট ওয়ার্ক বইটির লেখক অ্যামি গ্যালো।

তার মতে, মতের অমিল প্রকাশ না করলে কাজে সফল হওয়া সম্ভব নয়। ঝগড়ার মাধ্যমেই ভিন্ন মত প্রকাশিত হয় এবং কাজে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয়। ঝগড়া একজন মানুষকে আগের তুলনায় বুদ্ধিমান হয়ে উঠতেও সাহায্য করে।

উদাহরণ হিসেবে বিজ্ঞান গবেষণার কথা বলা যায়। গবেষণায় নতুন নতুন তত্ত্ব পরখ করার জন্য অন্য বিজ্ঞানীদের সমালোচনাও দরকার হয় বৈ কী। কারণ সমালোচনা ছাড়া সে গবেষণার ভুলগুলো খুঁজে পাওয়া যায় না।

এরপরেও অনেকে ভাববেন, মতের অমিল প্রকাশ করে তারা অন্যের চোখে খারাপ হবেন। তা কিন্তু নয়। ঝগড়া করার ভালো দিক রয়েছে।

প্রথমত, ঝগড়া করলে আপনি বুঝতে পারবেন অন্যদের মতের তুলনায় আপনার মতটি ভালো না খারাপ। হয়তো আপনি নিজের মত আরও শক্ত করে উপস্থাপন করতে পারবেন, অথবা আপনি বুঝতে পারবেন অন্য কারও মত আপনার মতের তুলনায় ভালো। এতে আপনার বুদ্ধির ধার বাড়বে।

দ্বিতীয়ত, আপনি ঝগড়ার মাধ্যমে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি অন্যকে দেখাতে পারেন। তাদের মাঝে এই বিশ্বাস ঢুকিয়ে দিতে পারেন যে আপনি তাদের তুলনায় ভালো জানেন, অন্তত এই বিষয়টিতে।

তৃতীয়ত, যেসব ধারনাকে ‘ভুল’ বলে ধরা হচ্ছে, ঝগড়া করতে গিয়ে হয়তো সেসব ধারনাই ‘সঠিক’ বলে প্রমাণ করা যাবে। কিন্তু ঝগড়া না হলে বা মতের আদানপ্রদান না হলে সে বিষয়টা অন্ধকারেই রয়ে যাবে।

ঝগড়া হবে তারমানে এই নয় যে সে ঝগড়া ক্ষতিকর। চিৎকার চেঁচামেচি ছাড়াও ঝগড়া করা যায়, আর কর্মক্ষেত্রে ‘ঝগড়া’ হবে সুচিন্তিত ও বিনীত, যাতে কেউ মনে কষ্ট না পায়।

সূত্র: বিবিসি

/ এআর /