ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

‘টিউশনির টাকায় বঙ্গবন্ধুর নামে জমি ক্রয় করেছিলাম’

শাহজাহান সাজু

প্রকাশিত : ১০:৩৬ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছিলাম "চ্যালেঞ্জ কোচিং সেন্টার"। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্ররা সেই কোচিং সেন্টারে শিক্ষক ছিলেন । কোচিং সেন্টারটি কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। 

সে সময় যারা এই কোচিং সেন্টারের ছাত্র ছাত্রী ছিলেন তাদের অনেকেই এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত। সেই কোচিং সেন্টারের আয় থেকে আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সন্নিকটে শেখপাড়া বাজারে একখণ্ড জমি ক্রয় করেছিলাম। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার অকাল প্রয়াত হারুন। আমার স্বপ্ন ছিল সেখানে `বঙ্গবন্ধু পল্লী` প্রতিষ্ঠা করার।

আমি জমিটি জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে রেজিস্ট্রি করার জন্য নেত্রীর অনুমতি নিতে গেলে নেত্রী সেদিন অবাক হয়ে জানতে চেয়েছিলেন জমি ক্রয়ের টাকা কোথায় পেলাম। আমি তখন কোচিং সেন্টারের আয় থেকে জমানো টাকার কথা বললাম। ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে বঙ্গবন্ধু ভবনে তখন মরহুম জিল্লুর রহমান (সাবেক রাষ্ট্রপতি), মরহুম আব্দুর রাজ্জাক (সাবেক মন্ত্রী), ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীণ সভাপতি এ কে এম এনামুল হক শামীম উপস্থিত ছিলেন ।

বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন হাসতে হাসতে হাসতে বলেছিলেন আমার কাছেতো সবাই চাইতে আসে, তুমি আমাকে দিতে এসেছো? নেত্রী সেদিন আরও বলেছিলেন আমিইবা কয়দিন বাঁচবো। জমিটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে দলিল করতে বলেছিলেন। জমিটি বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের নামেই দলিল করা হয়েছিল । অনেক দিন পর পুরনো ফাইলের মধ্যে সেই দলিলটি খুঁজে পেলাম ।

ছাত্র রাজনীতি নিয়ে অনেক নেতিবাচক আলোচনা আছে । কিন্তু অনেক ইতিবাচক দিকও আছে । ছাত্রলীগ কর্মীরা টিউশনির টাকা জমিয়ে বঙ্গবন্ধুর নামে জমি ক্রয় একটি অনন্য দৃষ্টান্ত এটা অস্বীকার করার উপায় আছে কি ?

লেখক: সাধারণ সম্পাদক, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ।


আআ// এসএইচ/