ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সুমো পালোয়ানরা কী খায় জানেন? 

প্রকাশিত : ০৬:১২ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ রবিবার

সুমো কুস্তি জাপানের জাতীয় খেলা। প্রায় দু’হাজার বছর ধরে এই খেলার প্রচলন রয়েছে। সুমো কুস্তিগীরদের ওজন মোটামুটি ২৫০ কিলোগ্রাম থেকে ৪০০ কিলোগ্রামের কাছাকাছি।

এসব কুস্তিগীরদের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি কিন্তু এত সহজ নয়। সারাদিন একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয় তাঁদের। খেতে হয় নির্দিষ্ট কিছু খাবার।   

একজন সুমো পালোয়ান হতে গেলে সবচেয়ে জরুরি শৃঙ্খলা এবং নিয়মানুবর্তিতা। ঠিক তেমনই প্রয়োজন পর্যাপ্ত খাবারের। সেকারণে সাধারণ মানুষের থেকে একজন সুমো পালোয়ান আট থেকে দশ গুণ বেশি খাবার খেয়ে থাকেন।

সুমো পালোয়ানরা কখনও জলখাবার খান না। তাঁরা সকালে উঠেই অনুশীলন করেন। ফলে বেড়ে যায় হজম শক্তি। খেতে পারেন ভারী মধ্যাহ্নভোজ।

সুমো পালোয়ানদের সবচেয়ে পছন্দের খাদ্য হল বিশেষ ধরনের স্ট্যু। স্থানীয় ভাষায় একে বলা হয়, চাঙ্কো নাবে। নাবের অর্থ পাত্র বা বাটি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চাঙ্কোই খাচ্ছে তাঁরা। সাধারণত তাঁদের হাতে বানানো যে কোনও খাবারকেই চাঙ্কো বলা যেতে পারে।

বিশেষ ধরনের এই স্ট্যু-তে সবজি, মাছ, টোফু, ক্যালরি সমৃদ্ধ মোচি, স্টার্চের তৈরি কেক ও মাংস থাকে এতে।

চাঙ্কো নাবে-তে যে মোচি ব্যবহার করা হয়। সেটি আসলে স্টার্চের তৈরি কেক। একটা দেশলাই বাক্সের মাপের মোচি মানে এক বাটি ভাতের ক্যালরি। আর সুমো কুস্তিগীররা মোটামুটি ছয় থেকে সাতটি মোচি এক বাটি চাঙ্কো নাবে-তে দিয়েই থাকেন।

একেকটি প্রতিষ্ঠানে একেক ধরনের রেসিপি রয়েছে চাঙ্কো নাবের ক্ষেত্রে। প্রত্যেকদিন মোটামুটি ২০ হাজার ক্যালরি প্রয়োজন হয় সুমো পালোয়নদের। যেখানে একজন সাধারণ নাগরিকের (পুরুষ) ক্ষেত্রে প্রয়োজন ২ হাজার ক্যালরি। অর্থাৎ প্রায় দশ গুণ। খাবারও খেতে হয় সেই মতোই। দুপুরের খাবারের সঙ্গে অনেকে পাঁচ-ছয় বোতল বিয়ারও খান।

দুপুরের খাবারের পর সুমো পালোয়ানদের ক্ষেত্রে একটু ঘুমের দরকার হয়। সেই ঘুমের পরিমাণ হল চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা।

প্রশিক্ষণ পর্বের সময় নিজের খাবার নিজেই বানিয়ে নিতে শিখতে হয় কুস্তিগীরদের। খাবারে কতটা নুন পড়ে, কী সস দিলে তাতে ক্যালরি বেশি, কোন স্যুপ আরও বেশি খিদে বাড়াবে জানতে হয় এগুলোও। জাপানের কিছু নির্দিষ্ট রেস্তরাঁয় পর্যটকদের জন্যও এই খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।

রাতেও একইরকম ভারী খাবার খান সুমো কুস্তিগীররা। পর্ক, চিকেন বা বিফ থাকবেই তাতে। খেয়েই ঘুম। পরদিন আবার ভোরে ওঠা। প্রতিটি হেয়ার (ক্লাবে) আলাদা ঐতিহ্য আছে। সেই অনুযায়ী খাবারদাবার সামান্য বদলও হয়। ১৫-১৬ বছর থেকে কিশোরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয় এতে। সূত্র: আনন্দবাজার

এসি