ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বিদ্যুৎ খাতে এসেছে অকল্পনীয় সাফল্য: ড. সেলিম মাহমুদ

প্রকাশিত : ০৬:৫৬ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৭:২৬ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

২০০৯ সালের আগে বিদ্যুতের অভাবে দেশের অর্থনীতি ছিল ভঙ্গুর, শিল্প, বাণিজ্য ছিল স্থবির এবং জনজীবনে লোডশেডিং ছিল অসহনীয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার এসব সমস্যার সমাধান দিয়েছে।

দেশে অবোকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সক্ষমতা অর্জন দূরদর্শী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি আইন ও পলিসি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড.সেলিম মাহমুদ।

আজ রোববার একুশে বিজনেসে অংশ নিয়ে বিদুৎ ও জ্বালানিতে সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

একুশে টেলিভিশন: এলএনজি, কয়লা, পরমাণু বিষয় সরকারের সাফল্য সম্পর্কে বলবেন কি ?

অধ্যাপক ড. সেলিম মাহমুদ : বিদুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে দেশের ভবিষ্যত জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) এবং জ্বালানির ঘাটতি মোকাবেলায় দেশের বাইরে এই তহবিলের অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল ২০০৯ সালের ৬ জুন।এরপর প্রতিবছরই দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে।সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হলো ১০ হাজার ১৩৭ মেগাওয়াট।এছাড়া সরকারের সময়ে এর আগে ২০১৬ সালে ৩০ জুন বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ৯ হাজার ৩৬ মেগাওয়াট।এর আগে ২০১৬ সালের ৯ জুন দেশে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৭৭৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।২০১৫ সালের ১৩ আগস্ট সর্বোচ্চ ৮ হাজার ১৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়েছিল।

বিগত নয় বছরে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নতুন ৮৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।আর এ সময়ে অবসরে গেছে মাত্র তিনটি কেন্দ্র। ২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৭টি আর এখন বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ১১২টি।

সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের প্রতিটি ঘরে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ শেষ করা হবে ২০২১ সাল নাগাদ। এজন্য বিদ্যুতের উৎপাদন যা-ই হোক না কেন, প্রতিমাসেই নতুন তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে প্রতিমাসে নতুন গ্রাহক যুক্ত হওয়ায় সংকট সৃষ্টি হলেও তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করা হবে।

একুশে টিভি অনলাইন: সম্প্রতি বিদ্যুৎ ও  জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮ শেষ হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের অগগ্রতি আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করছেন।

অধ্যাপক ড. সেলিম মাহমুদ : আমি মনে করি বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে সরকারের অতুলনীয় অভূতপূর্ব সাফল্য। বাংলাদেশে অন্য খাতে এমন উন্নয়ন হয়েছে কি না আমার জানা নেই। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে তখন বিদ্যুৎ ৩২ শত মেগাওয়াট। বর্তমানে ২ হাজার মেগা ওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সাফাল্যের। আমার মনে হয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে আমরা শতভাগ সফলতা অর্জন করেছি।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তব্যে অনেক গুরুত্বদিক তুলে ধরেছে। তিনি জ্বালানি নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করেছেন। বিদ্যুৎ খাতে আমাদের বড় অর্জন। আমরা ভারত থেকে সহজে বিদ্যুৎ নিয়ে আসতে পারছি। ইতোমধ্যে আমার ভারত থেকে বিদ্যুৎ আসতে সম্ভম হয়েছি। শুধু তাই না ভারত আমাদের দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে এই অর্জনকে  প্রশংসা করছেন। শুধু তাই নয়। ভারত থেকে যে বিদুৎ আমদানি করছি এতে করে বাংলাদেশ প্রতি বছর ৫ মিলিয়ন ইউ এস ডলার সেফ করছে। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়া  প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে  বেশি বাংলাদেশে। এখানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অনেক অবদান রয়েছে।

আমাদের প্রতিবেশি মিয়ানমার সীমান্ত একটা গ্যাস ফিন্ড আবিস্কার করা হয়েছিলো। এটা চুক্তি হয়েছিলো বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার প্রতিবেশ রাষ্ট্র মধ্যে। এই চুক্তি বাস্তবায় হলে ভারত ও বাংলাদেশ গ্যস পেতে। কিন্তু বিএনপির সরকার সেই চুক্তি বাতিল করে দেয়। এর ফলে আমাদের দেশ দুই দিকে ক্ষতির মুখে পড়ি। একদিকে জ্বালানি নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়। অন্যকে দিকে ভারতের সাথে সেই সর্ম্পক খারাপ হয়ে যায়।

 

বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে

টিআর/ আর