হার্টের রোগী পাইলস হলে কী করবেন
অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক
প্রকাশিত : ০৪:৪২ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৪:৪৫ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সোমবার
অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক
পাইলস বা অর্শ হলো মলদ্বারে এক ধরনের রোগ যেখানে রক্তনালীগুলো বড় হয়ে গিয়ে ভাসকুলার কুশন তৈরি করে। এটি অস্বস্তিকর এবং অসহনীয় একটি সমস্যা, যা যন্ত্রণার সৃষ্টি করে।
শিশুসহ যেকোনো বয়সের লোকই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এটি মলদ্বারের ভেতরে কিংবা বাইরেও হতে পারে। পাইলস হলে চুলকানি বা রক্তক্ষরণ হয়। লজ্জায় অনেকে বিষয়টিকে দীর্ঘদিন গোপন করে রাখে। ফলে ভুল চিকিৎসার শিকার হন যা স্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি করে।
পাইলস বা অর্শ রোগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কলোরেকটাল সার্জারী বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক। সাক্ষাতকার নিয়েছেন একুশে টিভি অনলাইন প্রতিবেদক তবিবুর রহমান। একুশে টিভি অনলাইন পাঠকদের জন্য সাক্ষাতকারটি হুবহুব তুলে ধরা হলো।
একুশে টিভি অনলাইন: হার্টের রোগী যদি পাইলস আক্রান্ত হন তাহলে করণীয় কি?
অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক: হার্টের যখন সমস্যা দেখা দেয়। তখন রোগী ডাক্তারের পরামর্শ দিয়ে থাকে। ডাক্তার পরীক্ষা করে রক্ত পাতলা করা পরামর্শ দিয়ে থাকে। তখন পাইলস রোগীদের পায়খানা থেকে বেশি রক্ত যাওয়া শুরু হয়।
এসময় রোগীরা বেশি ভয় পায়। সময় পাইলসের চিকিৎসা আগে করে। চিকিৎসা শেষ করে হার্টের চিকিৎসা করাতে হয়। এমন অবস্থা দেখা দিলে আমরা আগে পাইলসের অপারেশন করে থাকি।
একুশে টিভি অনলাইন: গর্ভবর্তী নারী যদি পাইলস রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে করণীয় কি?
অধ্যাপক ডা.একেএম ফজলুল হক: বিভিন্ন কারণে পাইলসে আক্রান্ত হতে পারে। গর্ভবর্তী মায়েদের কে অন্যান্য রোগীদের মতো চিকিৎসা দিয়ে থাকে। বাড়তি ও অন্য কোন চিকিৎসা নেই।
তবে অন্ত:স্বত্ত্বার জন্য কিছু পরামর্শ হলো- বেশি করে পানি খাবে। বেশি করে শাক-সবজি খেতে হবে। ফলমূল খেতে হবে। পাইলসের কারণে গর্ভাবস্থায় অস্ত্রোপচার করা যাবে না। সন্তান জন্ম নেওয়ার পর অপারেশন করাতে হবে।
একুশে টিভি অনলাইন: শিশুরা পাইলস রোগী কিনা বুঝব কিভাবে?
অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক: অনেক সুন্দর একটু প্রশ্ন। জন্ম থেকে ২ বছরের শিশুরা সাধারণত পাইলস আক্রান্ত হয় না। এসময় কিছু শিশু মলদ্বারের পাশে ছোট ফোঁড়া হয়ে থাকে। এটা চিকিৎসা নিলে ভালো হয়ে যায়।
একুশে টিভি অনলাইন: পাইলসের আধুনিক চিকিৎসা কতটা নিরাপদ?
অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক: অবশ্যই নিরাপদ। অপারেশন ছাড়া পাইলস ভালো করা যায়। আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে বিনা অপারেশনে ৮০-৯০%পাইলসে চিকিৎসা এ পদ্ধতিতে ছোট যন্ত্রের সাহায্যে পাইলসে চিকিৎসা সম্ভব। এমনকি খরচও অনেক কম লাগে।
একুশে টিভি অনলাইন: অপারেশন করতে দেরি হলে পাইলস রোগীদের জন্য কোন জটিলতা দেখা দেয় কি না ?
অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক: পাইলস দুই ধরনের হতে পারে। মাৎসপিন্ড মলদ্বারের পাশে ফুলে উঠে। মলদ্বার ভিতর থেকে বের হয়ে আসে। দিনে দিনে এর জটিলতা বাড়তে থাকে। অনেক সময় দেখা দিতে পারে। প্রাথামিক পর্যায়ে চিকিৎসা নিলে অপারেশন ছাড়া সম্ভাব কিন্তু। দেরিতে অপারেশন করলে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যেমন মলদ্বারের কিছু অংশ বাহিরে বের হয়ে থাকে। একারণে আবার অপারেশন করতে হয়।
প্রথম দিকে আসলে কিন্তু এমন কোনো ঝুঁকিতে পড়েতে হয় না।
একুশে টিভি অনলাইন: মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক: একুশে পরিবারকেও ধন্যবাদ।
/ টিআর / এআর