রাশিয়ার সামরিক মহড়ায় হঠাৎ কেন চীন?
প্রকাশিত : ০৯:৩৮ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার
রাশিয়ায় শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী বিশাল এক সামরিক মহড়া যা সোভিয়েত আমলের পর সবচেয়ে বড় সামরিক প্রদর্শনী। এতে এই প্রথমবারের মতো চীনা সৈন্যরাও অংশ নিচ্ছে - যাকে দেখা হচ্ছে দুটো দেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের চিহ্ন হিসেবে।
সেনাবাহিনী, বিমান ও নৌবাহিনীর তিন লাখেরও বেশি রুশ সৈন্য এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। পশ্চিমা বিশ্বের সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এই মহড়া চলছে পূর্ব সাইবেরিয়াতে। রাশিয়া বলছে, দেশটির ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া যার নামকরণ করা হয়েছে ভস্তক-১৮। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আমলে বড় ধরনের যেসব সামরিক মহড়া হয়েছে, এবারের তুলনায় সেগুলো কিছুই নয়।
পাঁচ দিনের এই সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে তিন লাখেরও বেশি সৈন্য, ৩৬ হাজার সামরিক যান, এক হাজারেরও বেশি যুদ্ধবিমান এবং আশিটির মতো রণতরী। এছাড়াও রাশিয়া এই প্রথমবারের মতো এধরনের মহড়ায় অংশ নেওয়ার জন্যে সাবেক সোভিয়েত মিত্রদের বাইরের কোন একটি দেশ চীনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
রাশিয়ার উপর দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা এবং পশ্চিমা বিশ্বের সাথে যখন রাশিয়ার উত্তেজনা বাড়ছে ঠিক তখনই চীনা সৈন্যদের অংশগ্রহণে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর একজন মুখপাত্র বলছেন, এই মহড়া প্রমাণ করছে বড় ধরনের সংঘাতের দিকে মনযোগ দিচ্ছে।
রাশিয়ার এই সামরিক মহড়ায় চীন কেন অংশ নিচ্ছে?
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, নানা ধরণের নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলার জন্য তারা রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়াচ্ছে। কিন্তু এই সামরিক হুমকি কাদের দিক থেকে, সেটা পরিস্কার করে বলা হয়নি। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শুইগো অবশ্য বলেছেন, মধ্য এশিয়ায় রাশিয়ার জন্য বড় হুমকি হচ্ছে ইসলামী জঙ্গীবাদ।
পর্যবেক্ষকরা অবশ্য বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব খর্ব করতেই চীন এবং রাশিয়া নিজেদের মধ্যে সামরিক যোগাযোগ বাড়াচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র যখন চীনের সঙ্গে এক বাণিজ্য যুদ্ধে লিপ্ত, তখন চীন আরও বেশি করে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে চাইছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এমজে/