ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বাংলাদেশে চিলির তাজা ফল শিল্পের প্রথম সাফল্য 

প্রকাশিত : ১২:০৪ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বুধবার

চিলির তাজা ফল রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ যেসব সুযোগ সুবিধা দেয় তা দেখার জন্য সম্প্রতি একটি জাতীয় প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করেছেন। চিলির ফলের এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসওএক্স)-এর উদ্যোগে এই সফরটি অনুষ্ঠিত হয়। 

বাংলাদেশ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত চিলির অনারারী কনসুল এবং ইন্ডিয়াস্থ চিলির বানিজ্যিক অফিসের সম্মতিতে চিলির ফল রপ্তানিকারক সংস্থার (এস ও এক্স) উদ্যোগে এই সফরটি অনুষ্ঠিত হয়।

মিশনটি চিলির পাঁচটি তাজা ফল রপ্তানিকারক কোম্পানির সমন্নয়ে গঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশে নিযুক্ত চিলির অনারারি কনসাল আসিফ এ চৌধুরীর সমর্থনে শরিফ কারভাজাল- এশিয়া ও ইউরোপের জন্য এসওএক্স এর মর্কেটিং ডিরেক্টর, পওলিনা এসকুডেরো-এসওএক্স এর কৃষি প্রকৌশলী, ভারতে সম্মিলিতভাবে চিলির বাণিজিক এ্যটাচি ক্যারোলিনা ভাস্কিজ উনাদের নিয়ে গঠিত হয়। 

কারভাজাল বলেন, এ সংগঠনটি প্রথম বারের মতো বাংলাদেশে তাদের একটি মহড়া পরিচালনা করে, আমরা তার রাজধানী ঢাকায় গত সপ্তাহের ২য় সেপ্টেম্বর আমদানি কারক ও স্থানীয় পরিবেশকদের সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত মিটিং করি। এছাড়াও পাইকারি বাজার এবং চেইন সুপার মার্কেট গুলো  পরিদর্শন করি। এই সব কিছুই এই শিল্পের বহুমুখি করনের স্বার্থে একটি প্রক্রিয়া যা হল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের উদীয়মান বাজারকে উৎসাহিত করে।

এসও এক্স এর মার্কেটিং ডিরেক্টর আরও বলেন যে, ২০১৬-২০১৭ সালের মৌসুমে চিলি এই দেশে ৩,৭০৭ টন তাজা ফল রপ্তানি করে যার মধ্যে ৮৮.০৭% আপেল এবং ১১.০৩% টেবিল আঙ্গুর ছিলো।  

আমরা আমাদের বৃহৎ সার্থে বাংলাদেশে এই শিল্পের বৃদ্ধি দেখছি এবং সময়ের সাথে সাথে আমরা বিশ্বাস করি আমরা ধরে রাখবো, কারণ আমাদের অবকাঠামোগত এবং লজিস্টিক্যাল অনেক দিক রয়েছে। এই বাজারে চিলিয়ান ফলের অপার সম্ভাবনা রয়েছে, যার কারণে এখানে ভোক্তারা নতুন ফল এবং পণ্যের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে।

সংক্ষেপে বলা যায়, এই বাজারের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে যেটা আমরা ধরে রাখতে চাই। আর সে কারণে আমরা বাণিজ্য অভিযান পরিচালনা করেছিলাম-ইন্ডিয়াস্থ চিলিয়ান এ্যটাচি ক্যারোলিনা ভাস্কিজ বাংলাদেশের সমার্থনে এ ব্যাপারে বলেছেন। 

কেআই/এসি