ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

হাড়ের ক্যান্সারের ৪ লক্ষণ

প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বুধবার

হাড়ের ক্যান্সার বা ‘বোন ক্যান্সার’র সঙ্গে আমরা কেউই তেমনভাবে পরিচিত নই। অন্যান্য ক্যান্সার ও টিউমারের লক্ষণ সম্পর্কে অনেকেই কমবেশি জানেন।

সাধারণত শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গে ব্যথা কিছু পরিবর্তন দেখে আমরা দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসা গ্রহন করে থাকি। কিন্তু হাড় সংক্রান্ত সমস্যায় পড়লে কোনোভাবে আঘাত লাগতে পারে বলে মনে করি। আর এই কারণেই হাড়ের ক্যান্সার শরীরে বিস্তারের সময় পায়।

তাই আসুন জেনে নেই নীরব ঘাতক হাড়ের ক্যান্সারের লক্ষণগুলি-

১) ব্যথার স্থান ফুলে যাওয়া

চোট-আঘাত না পাওয়া সত্ত্বেও হাড়ে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি যদি ব্যথা হওয়ার স্থান অনেকটা ফুলে যায় তাহলে শতর্ক হোন। এছাড়াও ফুলে যাওয়া স্থানে গোটার মতো অনুভব হলে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হোন এবং পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন।

২) হাড়ে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া

হাড়ের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে হাড়ে ব্যথা হওয়া। এই ব্যথা একটানা হবে না। হটাৎ করেই ব্যথা শুরু হওয়া এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া। রাতের বেলা ব্যথা শুরু হওয়া, ভারী কোনও জিনিস তোলার পর ব্যথা হওয়া বা হাঁটার ফলে হাড়ে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি হতে পারে হাড়ের ক্যান্সারের লক্ষণ। সুতরাং, হাড়ের ব্যথা অবহেলা করবেন না।

৩) হাড় ভাঙা বা হাড়ে ফ্র্যাকচার হওয়া

মানুষের হাড় অনেক মজবুত হয়। হাড় সহজে ভাঙে না। কিন্তু হাড়ের ক্যান্সার হওয়ার ফলে হাড়ের ভেতরে ভেতরে ক্ষয় হতে থাকে এবং হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। এর ফলে সাধারণ কাজ যেমন, ওঠা বা বসার সময়, হাঁটু গেঁড়ে বসার সময় বা এমনই নিতান্ত সাধারণ কারণেও অনেক সময় হাড় ভাঙা বা হাড় ফ্র্যাকচার হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনা মোটেই স্বাভাবিক নয়। এটি হাড়ের ক্যান্সারের লক্ষণ।

৪) অন্যান্য লক্ষণ সমূহ

এসব লক্ষণের পাশাপাশি আরও সাধারণ কিছু লক্ষণ নজরে আসে, যেমন:--

  • অতিরিক্ত দুর্বলতা অনুভব করা।
  • কোনও কারণ ছাড়াই ওজন কমতে থাকা।
  • ঘন ঘন এবং অতিরিক্ত জর হওয়া।
  • রক্তশূন্যতায় ভোগা ইত্যাদি।

তবে মনে রাখতে হবে, উল্লেখিত লক্ষণগুলো চোখে পড়লে নিশ্চিত হয়ে যাবেন না, যে আপনি হাড়ের ক্যান্সারেই আক্রান্ত। আর্থ্রাইটিস, মাংসপেশি বা লিগামেন্ট ইনজুরিতে যারা ভোগেন তাদের মধ্যেও এই ধরনের কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই ঘাবড়ে বা ভয় পেয়ে যাবেন না। লক্ষণ দেখা মাত্র চিকিত্সকের শরণাপন্ন হয়ে তার পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন।

সূত্র: জি নিউজ

 

এমএইচ/ এআর