ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

খুনিচক্র ১৪ আগস্ট থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে

প্রকাশিত : ০২:৪১ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০১৬ সোমবার | আপডেট: ০২:৪১ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০১৬ সোমবার

১৪ আগস্ট থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে শুরু করে খুনিচক্র। ওই দিন বিকেলে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রেকি করে খুনীরা। রাতে নিউ এয়ারপোর্টে ফারুক-রশিদ তাদের দু’টি ইউনিটকে জড়ো করে রাজনৈতিক বক্তব্যের পর হাতে হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। রাতভর জুনিয়র সেনা কর্মকর্তারা প্রস্তুতি শেষে ভোরে ট্যাংক নিয়ে অপারেশনে নামলেও গোয়েন্দা কিংবা উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা তাদের প্রতিরোধে কোন ভূমিকা রাখেননি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগের দিন বিকেলে মেজর শরিফুল হক ডালিম ও ক্যাপ্টেন বজলুল হুদা মোটর সাইকেল নিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন রেকি করে যায়। আর নাইট প্যারেডের নামে ফারুকের অধীন ল্যান্সার সদস্যরা এবং রশিদের আর্টিলারি ইউনিট নিউ এয়ারপোর্টে জড়ো হয়। এই দুইজন সৈন্যদের সামনে সরকার উৎখাতের আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা করে। ভোরে ঘাতকের দল হাজির হয় বঙ্গবন্ধুর বাড়ীতে। সেক্টর কমান্ডার আবু ওসমান চৌধুরী বললেন, সেনাপ্রধানের অনুমতি নিয়ে মহড়ার নামে চালাকি করে ঘাতকরা জড়ো হওয়ায় তারা বুঝতে পারেননি। নিউ এয়ারপোর্ট থেকে খুনিরা বঙ্গবন্ধুর বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছায় ভোর ৪টায়। একঘন্টা ধরে তারা কামানসহ নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করে। সেসময়ে বাসসের সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবিব থাকতেন কলাবাগানে। তিনি জানালেন, কিভাবে ঘাতকের দল ত্রাসের সৃষ্টি করেছিলো ওই এলাকায়।<ংঃৎড়হম> তবে, ঘাতকদের প্রতিরোধে এগিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব কর্নেল জামিল। তাকেও স্তব্ধ করে দেয় কুচক্রীদের বুলেট। আর সাধারণ মানুষ কিছু বুঝে উঠার আগেই ধানমন্ডির বাড়ীতে ঘটে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। বাঙালি হারায় তার প্রাণপ্রিয় নেতাকে।