ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

সাইনোসাইটিসের কষ্ট থেকে মুক্তির ৬ উপায়

প্রকাশিত : ০১:৩৫ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

সাইনোসাইটিসের (সাইনাসের সমস্যা) সমস্যা অনেকেরই আছে। আ স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার কারণে সাইনাসের সমস্যা বাড়ে। সারাক্ষণ মাথায় অস্বস্তি, নাকের মাঝে ভারী লাগা, কপালে অস্বস্তিসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে সাইনোসাইটিস। মুখের হাড়ের ভিতরে চার জোড়া ফাঁপা বায়ুপূর্ন জায়গা আছে যেগুলোকে সাইনাস বলা হয়। কোনও কারণে যদি সাইনাসের ভেতরের ঝিল্লির মধ্যে প্রদাহ (জ্বালা) হয় তখন তাকে সাইনোসাইটিস বলে। এই যন্ত্রণাদায়ক সাইনাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার দারুণ কিছু উপায় রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সাইনোসাইটিসের কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকটি অব্যর্থ উপায়-

১) প্রতিদিন ১ চামচ করে মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। মধু হচ্ছে উচ্চ ওষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল। নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস আপনার শ্বাসনালীর নানা সমস্যা দূরে রাখবে এবং সেই সঙ্গে সাইনাসের সমস্যাও।

২) সাইনোসাইটিসের সমস্যা হলে প্রচুর পানি পান করুন। প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে আসে। শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে গেলে সেটা ধীরে ধীরে বের হয়ে যায় নিজে থেকেই। তাই সাইনোসাইটিসের সমস্যা দেখা গেলে সারাদিন প্রচুর পানি পান করতে থাকুন।

৩) সাইনাসের সমস্যার কারণে যদি আপনার নাক বন্ধ থাকে তাহলে একটি কাজ করুন। সামান্য উষ্ণ গরম লবণ পানি নাক দিয়ে টানার অভ্যাস করুন। নাকের একপাশ দিয়ে টেনে অন্য পাশ দিয়ে বের করার চেষ্টা করুন। এতে জমে থাকা মিউকাস সহজেই বের হয়ে যাবে এবং সাইনাসের সমস্যা কমবে।

৪) চায়ের পরিবর্তে পান করুন দারুণ একটি পানীয় যা সাইনাসের প্রকোপ কমিয়ে দিতে খুবই কার্যকর। উষ্ণ গরম পানিতে এক খণ্ড লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন এই মিশ্রণ পানের অভ্যাস করুন। এ ছাড়াও গ্রিন টি পানের অভ্যাস করতে পারেন। উপকৃত হবেন।

৫) সাইনোসাইটিস সমস্যায় গরম পানির ভাপ বা সেঁক নেওয়া একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। গরম পানির ভাপ নিলে নাসিকা-পথ ভেজা থাকবে এবং সহজেই শ্লেষ্মা বের হয়ে আসবে। তাই গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে নিয়ে দিনে দু’বার করে ভাপ নিন।

৬) কথাটা শুনতে অদ্ভুত লাগলেও সত্যি যে, আপনার ঘুমের সমস্যা সাইনাসের সমস্যার সঙ্গে জড়িত। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিন এবং মানসিক চাপকে যতটা সম্ভব দূরে রাখুন। সুতরাং, সাইনোসাইটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম আর বিশ্রাম একান্ত প্রয়োজন।

সূত্র: জিনিউজ

একে//