নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি এখন ঢাকায়
সাদ্দাম উদ্দিন আহমদ
প্রকাশিত : ০৪:৩৬ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:৩৮ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
প্রত্যেকটা জেলারই একটা নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য রয়েছে। তেমনিভাবে নেত্রকোনা জেলার রয়েছে শতাধিক বছরের ’বালিশ মিষ্টি‘র ঐতিহ্য। এ মিষ্টি দেখতে আমাদের শোয়ার বালিশের মতো আকৃতির হয়ে থাকে বলেই একে বালিশ মিষ্টি বলা হয়। কিছু দিন আগেও বিখ্যাত বালিশ মিষ্টি শুধু নেত্রকোনাতেই পাওয়া যেত, সেই বালিশ মিষ্টি এখন ঢাকার অদূরে নীলা বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে। মিষ্টির স্বাদ একই রকম, দামও খুব বেশি না।
ঢাকার অদূরে তিনশ ফিট পূর্বাচলের নীলা মার্কেটে অস্থায়ীভাবে তৈরি কয়েকটা খোলা দোকানে বিক্রি হচ্ছে বালিশ মিষ্টি। প্রত্যেকটা দোকানে সাড়ি সাড়ি এ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে রসে ডোবানো আছে প্রিয় মিষ্টি। পাশেই তৈরি হচ্ছে মিষ্টি। একটু অপেক্ষা করলে গরম গরম মিষ্টি খেতে পারবেন।
বালিশ মিষ্টি ছাড়াও আরও অনেক রকম মিষ্টি পাওয়া যায়। সাধারণ মিষ্টি থেকে শুরু করে স্পঞ্জ, রসগোল্লা, রসমলাইসই আরও আনেক ধরনের মিষ্টি পাওয়া।
সপ্তাহের প্রত্যেকদিনই সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হয়, বিকেলের দিকে বিক্রি বেশি হলেও শুক্রবারে বেচাকেনা সবচেয়ে বেশি হয়। এখানে বালিশ মিষ্টির যথেষ্ট পরিমান চাহিদা রয়েছে। অনেকে শখ করে এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গরম গরম মিষ্টি শুধু খেয়েই যান না, আবার অনেকে বাসার বা নিকটাত্মীয়দের জন্য কিনে নিয়ে যান। এখানে দাড়িয়ে যত মিষ্টি খান তার চেয়েও অনেক বেশি মিষ্টি সঙ্গে করে বাসায় নিয়ে যান বেশি।
নেত্রকোনা মিষ্টি ঢাকায় পাওয়া গেলেও দাম বেশি বলা যাবে না। দর কষাকষি করলে ২০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন আপনার প্রিয় মিষ্টি। এই মিষ্টির আকার সাধারণত ১২ থেকে ১৩ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। ইচ্ছে করলে পিস হিসেবেও কিনতে পারেন। ইচ্ছে করলে দোকানের সামনে দাড়িয়ে মিষ্টি খেয়ে আসতে পারেন। একটা বড় মিষ্টি সাধারণত কেউ একা খেতে পারে না, তাই এ মিষ্টি কেটে পিস পিস করে পরিবেশন করা হয়। কেউ একবার এই মিষ্টি খেলে এর স্বাদ ও গন্ধ জিভে লেগে থাকে।
কিভাবে যাওয়া যায়-
যেভাবে যাবেন: নিজের গাড়ি থাকলে কুড়িল থেকে ৩০০ ফিটের রাস্তা ধরে সোজা চলে যাবেন বালুর ব্রিজ হয়ে পূর্বাচলের নীলা বাজার।
যদি বাস বা সিএনজিতে যেতে চান তবে প্রথমে আসতে হবে কুড়িল বাস স্ট্যান্ডে। সেখান থেকে বিআরটিসি বাসে নীলা বাজার ভাড়া নিবে জন প্রতি ১৫ টাকা করে। যেতে যেতে আপনি উপভোগ করবেন চারপাশের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য। এ যাত্রায় আপনাকে এনে দিতে পারে গ্রামীণ আবেশ। হয়ে যেতে পারে মন উৎফুল্ল। চাইলে আপনি খেয়ে আসতে পারেন এই মিষ্টি।
এসএইচ/