ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

আঘাতে আঘাতে পর্যুদস্ত নওয়াজ

প্রকাশিত : ০৫:১১ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

বিপদ যখন আসে, তখন সঙ্গী-সাথী নিয়েই আসে। এই প্রবাদটিই যেন প্রতিফলিত হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের জীবনে। পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির মধ্য দিয়ে শনির দশা শুরু হয় নওয়াজের। এরপর আদালত কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে উৎখাত হওয়ার পর, হারান দলীয় প্রধানের পদও। এর রেশ কাটতে না কাটতেই দুর্নীতির মামলায় তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর জাতীয় নির্বাচনেও ইমরানের খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার পর একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছিলেন নওয়াজ। কারাগারের বদ্ধ কুটুরিতে যখন বাইরের আলো নিভে আসছিল নওয়াজের, তখন স্ত্রীর মৃত্যু ভেতরের আলোটাকেও যে নিভিয়ে দিয়ে গেল। তাই শোকে শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন তিনবারের নির্বাচিত এ প্রধানমন্ত্রী।

যে মানুষটি বারবার সেনাশাসক দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পরও মনোবল হারাননি, মঙ্গলবারের সবচেয়ে বড় আঘাতটির পর একেবারেই ভেঙে পড়েছেন নওয়াজ। ক্যান্সারে আক্রান্ত তার তিন দশকের ছায়াসঙ্গী সহধর্মিণী কুলসুম নওয়াজ মারা যান। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শোনার পর নওয়াজ কী করেছিলেন, তা না জানা গেলেও বুধবার ১২ ঘণ্টার প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তার বিমানবন্দরে আসার দৃশ্যটি দেখেছে গোটা পাকিস্তান।

‘জিও টিভি’তে প্রচারিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কড়া নিরাপত্তার ভেতর দিয়ে ইসলামাবাদের বিমানবন্দরে হেঁটে যাচ্ছেন এক অন্যমনস্ক নওয়াজ। ২০০৪ সালে বাবা মিয়া মোহাম্মদ শরিফের মৃত্যুর সময়ও জেদ্দায় নির্বাসনে ছিলেন নওয়াজ। সেসময় পাকিস্তানের ক্ষমতায় ছিলেন জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। বৃহস্পতিবার মৃত কুলসুমের প্রথম জানাজা লন্ডনে। এরপর তার দেহ বিমানে করে আনা হবে লাহোরে। সেখানে জাতি উমরায় তার লাশ দাফন করা হবে।

এমজে/