ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বেহাল অবস্থায় হাবিপ্রবি জিমনেসিয়াম

প্রকাশিত : ১১:৩১ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেসিয়ামে প্রশিক্ষক ও ভালো মানের যন্ত্রপাতির অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।অন্যদিকে মেয়েদের জন্য আলাদা কোন ব্যায়ামাগার না থাকায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে ,ছেলেদের জিমনেসিয়ামের এপকিং ১টি নষ্ট,রানিং মেশিন ৪টি নষ্ট,বাইসাইকেল ১ টি নষ্ট, ফ্যান ২ টি নষ্ট,ব্যাডমিন্টন ৪টি ব্যাট নষ্ট । শুধুমাত্র ডাম্বেল ছাড়া বাকী অন্যান্য জিনিস প্রায় অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। এছাড়াও দেখা গেছে, সেখানে লাইটিং এর ব্যবস্থা থাকলেও অধিকাংশ লাইট জ্বলেনা এবং মেয়েদের জন্যও আলাদা কোন জিমনেসিয়াম-ই নেই ।

ব্যায়ামাগারে নিয়মিত যাওয়া আসা করে নাহিদ হাসান নামের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর হয়ে গেছে তবুও ঠিক হয়নি আমাদের ব্যায়ামাগারটি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বড় ভাইদের কাছে যেমনটি শুনেছি, দেখেছি ঠিক তেমনই পড়ে আছে এখনো। ২-১ টি যন্ত্রপাতি ছাড়া তেমন কিছু নেই । যেগুলো আছে সেগুলোও অনেকটা অকেজো হয়ে গেছে। তবুও একবারের জন্য নজর পড়েনি কর্তৃপক্ষের । এ বিষয়ে আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থী স্যারের সাথে কয়েকবার কথা বলি তারা আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু দীর্ঘদিন যাওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত কোন অগ্রগতি চোখে পড়েনি । আমি স্যারকে দ্রুত প্রশিক্ষক সহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি ।

এদিকে বেশ কয়েকজন ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, শরীর সুস্থ ও ফিট রাখতে ছেলে মেয়ে সবার ব্যায়াম করার প্রয়োজন । বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের জন্য ব্যায়ামাগার থাকলেও মেয়েদের জন্য কোন ব্যায়ামাগার নেই ।এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কখনও ভাবছে বলেও মনে হয় না। আমরা আশা করব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেয়েদের জন্য আলাদা ব্যায়ামাগারের ব্যবস্থা করবেন ।

শারীরিক শিক্ষা শাখার পরিচালক ,অধ্যাপক ড. শাহ মইনুর রহমান এ বিষয়ে জানান,বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে ,ইতোমধ্যে আমরা কিছু যন্ত্রপাতি কেনার প্রস্তাবনা দিয়েছি। সরকারি কাজ তাই একটু বিলম্বিত হচ্ছে । আশা করি খুব শীঘ্রই ছাত্ররা সেগুলো পেয়ে যাবে। মেয়েদের ব্যাপারে তিনি বলেন, ৪বছর আগে মেয়েদের জন্য আলাদা সময় ,পাটিশনের ব্যবস্থা করে কিছুদিন চালানো হয়েছে। দুই চার জন মেয়ে ছাড়া তেমন কাউকে পাওয়া যায়নি। আর নিরাপত্তা জনিত সমস্যার কারণেও সেটা পরে চলমান রাখা সম্ভব হয়নি । এরপর মেয়েদের কাছ থেকে আমি এ নিয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি ,পাইলে পরে হয়তো সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া যাবে ।

প্রশিক্ষকের বিষয়ে তিনি জানান,একজন প্রশিক্ষক আমাদেরকে ১ মাসের মত সার্ভিস দিয়েছেন। তিনি এখন নিজের প্রমোশনের পরীক্ষায় ব্যস্ত থাকায় তাকে পাচ্ছি না । আশা করি তার পরীক্ষা শেষ হলে আমরা পেয়ে যাবো।

আরকে//