ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মৌসুমি জ্বর ডেঙ্গু কিভাবে চিনবেন

প্রকাশিত : ০৮:৪৮ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার

বর্ষা মৌসুমে মৌসুমি জ্বর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব সমান্তরালে চলে। সাধারণত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসেই এ জ্বর বেশি হয়। ঋতু পরিবর্তনের কারণে দেশে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপও তাই বেড়েছে। জ্বর, সর্দি-কাশি, শরীর ব্যথা ইত্যাদিকেই মৌসুমি জ্বর হিসেবে ধরা হয়। হাঁচি-কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হয়ে থাকা, সারা শরীরে ব্যথা, মাথা ভার হয়ে থাকা, খাওয়ায় অরুচি, মুখে তিতাভাব ইত্যাদি ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ।
কিভাবে চিনবেন

জুলাই মাস থেকে আমাদের দেশে কারও স্বল্প দিনের জ্বর হলে ডেঙ্গু ভাবতে কোনো দোষ নেই। এ জ্বর সাধারণত ৭-৮ দিন থাকে। প্রথম দিকে ব্যথা, গা ম্যাজ-ম্যাজ করলেও মাথাব্যথাই প্রকৃত উপসর্গ। যে কোনো জ্বরের মতো ক্ষুধামন্দা, বমি ভাব, নাক ঝরা, চোখ লালচে হতে পারে তবে বিশেষত্ব হল সারা শরীরে ব্যথা। ব্যথা এত বেশি যে অনেকে একে ‘ব্রেক বোন ডিজিজ’ বলে। চোখ নড়ালে ব্যথা অনুভব অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কফ কাশি, গলায় ব্যথা থাকতে পারে তবে এটি ডেঙ্গু জ্বরের বিশেষত্ব নয়। দুর্বল লাগা, গ্লান্ড ফোলা কারও কারও হয় তবে এর তীব্রতা সামান্য।

জ্বর

অন্য জ্বরের মতোই এ জ্বরের বিশেষত্ব হচ্ছে দুই দফায় জ্বর হয়। ৩-৪ দিন পর ২ দিন বিরতি দিয়ে আবার দু’দিন জ্বর হয়। জ্বরের সঙ্গে পাল্স রেট কমাও বিশেষত্ব; অনেকের বেশ কিছুদিন অবসাদ থাকে।

র‌্যাশ

নিশ্চিতভাবে ডেঙ্গু জ্বর বুঝার উপায় কনফ্লুয়েন্ট কনভাল্সেন্ট র‌্যাশ। এটা উঠে ৬ষ্ঠ দিনে। আগে শরীরে হয় পরে বাহু ও অন্য জায়গায় ছড়ায়। হাতের পায়ের তালুতে হয় না। স্কারলেট ফিভার (২য় দিন) হামের মতো (৪র্থ দিন) র‌্যাশও হতে পারে।

রক্তক্ষরণ

ডেঙ্গুর বিশেষত্ব জ্বর, র‌্যাশ, রক্তক্ষরণ। যে কোনো জায়গা (নাক, চোখ, ত্বক, খাদ্যনালি মূত্র নালি) থেকে হতে পারে। মেয়েদের বেশি হয়, মাসিক হয়ে গেলেও দ্বিতীয়বার মাসিক হয়। মনে রাখতে হবে রক্তক্ষরণ মানেই কিন্তু ডেঙ্গু হিমোরেজিক ফিভার নয়।

জটিলতা

ডেঙ্গু হিমোরেজিক ফিভার, ডেঙ্গু শক সিন্ড্রম, রক্তনালিতে সর্বত্র রক্তক্ষরণ (ডিআইসি), সব অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি (মাল্টি অরগান ফেইলর)।

ডেঙ্গু ফিভার হওয়ার সম্ভাব্য স্থান

ডেঙ্গু হয় এমন এলাকায় থাকলে এবং জ্বর হলে তার সঙ্গে যদি নিম্নের যে কোনো দুটি যেমন বমি বা বমি বমি ভাব, র‌্যাশ, ব্যথা বেদনা, পজিটিভ টুরনিকেট টেস্ট, লিউকপেনিয়া হলে তা ওয়ারনিং সাইন।

এদের ল্যাবরেটরি টেস্ট করে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। চিকিৎসা হল পর্যবেক্ষণে রাখা, ওয়ার্নিং সাইন সম্পর্কে সতর্ক থাকা। অন্য কোনো বড় অসুখ বা প্রেগনেন্সি না থাকলে ভর্তির দরকার নেই।

সূত্র - বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

এসএ/