কি বার্তা নিয়ে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল
প্রকাশিত : ০১:৪০ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার
আসন্ন একাদশ নির্বাচন সামনে রেখে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের অভিপ্রায়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল শুক্রবার সকালে ওয়াশিংটন ডিসিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক দফতরের একজন ডেস্ক অফিসারের সাথে এ বৈঠক হয়। এসময় বাংলাদেশের `বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-অপশাসনের ফিরিস্তি` উপস্থাপনের পর আসন্ন নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ লোকজনের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের সহায়তা চান মির্জা ফখরুল।
এবৈঠকের সত্যতা স্বীকার করে স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র এদিন বিকালে এই সংবাদদাতাকে জানান,‘আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতায় সবসময়ই বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে।এর বেশি আর কোন তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ওই মুখপাত্র।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের বৈরী আচরণের শিকার হয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হয়েছে, সারাদেশে বিএনপির বহু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং অনেক নেতা গুম হয়েছেন বলেও মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেছেন।
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে বাংলাদেশে কোনভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলেও মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেছেন। বৈঠকে বিএনপি নেতা তাবিথ আওয়াল এবং হুমায়ূন কবীরও ছিলেন। মির্জা ফখরুলের দেয়া ডক্যুমেন্টগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গোচরে আনা হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগের দিন ১৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে সহকারি মহাসচিব(রাজনীতি)মিরোস্লাভ জেনকার সাথে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল। এসময় বাংলাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের দমন-পীড়নের কিছু ডক্যুমেন্টও হস্তান্তর করেন তিনি। সে সময়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আবেদনও জানান মির্জা ফখরুল।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলেই লন্ডনের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করেছেন।
টিআর/