ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

দুর্নীতির আখড়া বিআরটিএ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৪:৩৩ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার

অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি- বিআরটিএ’র কার্যালয়গুলো। টাকা ছাড়া সেবা অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার এখানে। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে দালালদের দৌরাত্ম কিছুটা কমলেও সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে আনসার সদস্যরা। আর বরাবরের মতো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি- বিআরটিএ’র কার্যক্রমের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, মোটরযানের কর আদায়, ফিটনেস চেক, সড়কে শৃংখলা ফেরানো অন্যতম।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ- টিআইবি’র রিপোর্ট অনুযায়ি, গেলো বছর বিআরটিএ’র সেবাগ্রহনকারী প্রায় ৬৬ শতাংশ মানুষকে দুর্নীতির শিকার হতে হয়েছে। সেবাপ্রার্থী মোটরযান মালিকদের প্রায় ৬২ শতাংশ এবং চালকদের প্রায় ৮০ শতাংশকে ঘুষ দিতে হয়েছে।

দালাল ছাড়া বিআরটিএতে কাজ করাই দু:সাধ্য। কর্মকর্তাদের সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে খোদ আনসার বাহিনী। ভ্রাম্যমান আদালতের কারণে দালালদের দৌরাত্ব কিছুটা কমলেও সে জায়গা দখল করেছে আনসাররা। ইকুরিয়া থেকে প্রতিটি লাইসেন্স পেতে আনসারদের দিতে হয় একশ’ টাকা করে।

ইকুরিয়ায় মোটর সাইকেল ও গাড়ীর ড্রাইভিং লাইসেন্স নেয়ার পরীক্ষা হয়। সেবাপ্রার্থী বা পরীক্ষার্থীর প্রতিজনকে গুণতে হয় দু’শ’ টাকা করে।

গাড়ীতে ‘ভি’ এঙ্গেল লাগানো অবৈধ হলেও ‘ভি’ এঙ্গেল থাকা অবস্থায় ফিটনেস দেয়া হলো কীভাবে- এমন প্রশ্ন ছিল কর্মকর্তার কাছে।

সাভার বিআরটিএ কার্যালয়ে দেখা যায়, প্রকাশ্যে টাকা নিচ্ছেন অফিস সহকারি।

এই অফিসেই কাজ করছিলো বহিরাগত এক ব্যক্তি। ক্যামেরা দেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় সে।

বিআরটিএ’র যে কোন শাখায় কাজের জন্য ঘুষ দিতে হয় সেবাপ্রার্থীদের।

তবে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন বিআরটিএ’র এই কর্মকর্তা।

বিআরটিএ’র অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সেবাপ্রার্থীরা।