পটুয়াখালীর মানুষ ভাঙনে দিশেহারা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ০৪:৩৬ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ শনিবার
ঘূর্ণিঝড়, নিম্মচাপ আর জলোচ্ছ্বাসের প্রভাবে নদী ভাঙনে দিশেহারা উপকূল-সহ পটুয়াখালীর মানুষ। প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীণ হচ্ছে ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা। কিন্তু ভাঙন রোধে টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণ ও নদী শাসনের নেই কোনো উদ্যোগ। তাই বর্ষা মৌসুমে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটে এ অঞ্চলের মানুষের।
পটুয়াখালী জেলার দক্ষিণ দিকে সাগর আর তিন দিকে রয়েছে তেঁতুলিয়া, পায়রা, লেবুখালী, আগুনমুখাসহ অনেক ছোট-বড় নদী। বর্ষা মৌসূমে ছোটখাট ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে এসব নদীর পানি বেড়ে তলিয়ে যায় লোকালয়।
এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বর্ষা মৌসূমে পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকি, বাউফল, দশমিনা, কলাপাড়া, গলাচিপা ও রাঙ্গাবালি উপজেলায় বিলীন হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ৫০ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ। গত কয়েক বছরে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে শত শত বসতবাড়ি, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজারসহ হাজার হাজার একর কৃষি জমি।
বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে উপকূলের অনেক এলাকা অরক্ষিত হয়ে পড়ায় জোয়ার এলেই ভসে যায় ৮ উপজেলার শতাধিক গ্রাম। অনেক এলাকায় চুলা জ্বলে জোয়ার-ভাটার হিসেব কষে।
ভাঙন রোধ ও মানুষের জান-মাল রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কথা বিবেচনায় নিয়ে উপক’লের জন্য নতুন একটি প্রকল্প হাতে নেয়ার কথা জানালেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব।
প্রত্যন্ত এসব অঞ্চলের মানুষের দু:খ-দুর্দশা রোধে শিগগিরি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ- এমনই প্রত্যাশা পটুয়াখালীবাসীর।