ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়: যেখানে আদায় হয় তিনগুন বেশি ভর্তি ফি

মোঃ জয়নাল উদ্দীন

প্রকাশিত : ০৭:০২ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৭:০৪ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ রবিবার

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হতে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে তিন গুন বেশি ভর্তি ফি গুনতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে চার থেকে সাত হাজার টাকায় স্নাতকোত্তরে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়, সেখানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যয় হয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা, যা অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে বহন করা কষ্টকর।

বিভিন্ন বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্নাতকোত্তর কোর্সে একজন শিক্ষার্থীকে অনুষদ ভেদে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি বাবদ প্রায় নয় হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা গুনতে হয়। তারপরে বিভাগ ও ডিন অফিস মিলিয়ে আরো গুনতে হয় ২ হাজার টাকা। এছাড়া বিভাগ ভিত্তিক ক্লাবের জন্য জমা দিতে হয় ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা। সবমিলিয়ে শুধু এক বছরের স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হতেই গুনতে হয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা।

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে একজন শিক্ষার্থীকে অনুষদ ভেদে ব্যয় করতে হয় সাত থেকে আট হাজার টাকা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে তিন হাজার ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চার হাজারের মত খরচ হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও এক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম নয়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীকে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে দিতে হয় সাড়ে চার হাজার টাকা। সেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরও কেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রায় তিন থেকে চার গুণ টাকা দিতে হবে তা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

স্নাতক শেষ হয়ে মাত্র স্নাতকোত্তর কোর্সে ২০১৭-১৮ সেশনে ভর্তি হয়েছেন বাংলা বিভাগের জাহিদুল ইসলাম মানিক। তিনি বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানেরা ভর্তি হয়। যাদেরকে সাধারণত স্নাতক পড়াকালীন সময়েই বাড়ি থেকে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়। টিউশনি করিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের খরচ চালায়। তাই স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে এতগুলো টাকা জোগাড় করতে অনেক কষ্ট হয়। অনেক শিক্ষার্থীকে না খেয়ে থাকতে হয়।‘

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, স্নাতকোত্তর ভর্তিচ্ছুদের ওপর প্রশাসন অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত ভর্তি ফি চাপিয়ে দিয়েছে। ছাত্রলীগ এ নিয়ে আগেও আন্দোলন করেছে ভবিষ্যতেও এমন যৌক্তিক দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে।

স্নাতক শেষ করা একজন শিক্ষার্থীর এত টাকা জোগাড়ের সমস্যা চিন্তা করে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি ফি কমানো যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) ড. মোঃ আবু তাহের জানান, ‘স্নাতকোত্তর ভর্তির ফি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও ফিন্যান্স কমিটির মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভর্তি ফির বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখছে।

 

জেএ/ এমজে