ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বাঙালি শরণার্থীরা পাকিস্তানের নাগরিকত্ব পাবেন: ইমরান খান

প্রকাশিত : ০৪:২৬ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সোমবার

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তার সরকার বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে থেকে আসা শরণার্থীদের পাকিস্তানের নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বিবেচনা করছে। রোববার করাচিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা আড়াই লক্ষ মানুষ এখন করাচিতে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছেন।

ইমরান খান বলেন, ৪০ বছর ধরে এরা এই শহরে আছেন। তাদের সন্তানরাও এই শহরেই বড় হচ্ছে। কিন্তু তাদের নেই কোন পাসপোর্টে কিংবা কোন পরিচয়পত্র। এগুলো না থাকলে চাকরি হয় না, আর চাকরি হলেও তাদের বেতন হয় অর্ধেক। করাচি শহরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক ইমরান খান বলেন, এসব শরণার্থীর জন্য শিক্ষা এবং চাকরির বাজার উন্মুক্ত করতে হবে।

জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, পাকিস্তানে এখন ১৪ লক্ষ আফগান শরণার্থী বসবাস করছেন। তাদের ৭৪ শতাংশ দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রজন্মের আফগান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক শরণার্থী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে আসেন। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকেও প্রচুর শরণার্থী আসেন। মহানগরীর ১০৩টি মহল্লায় বাঙালি এবং মিয়ানমারের শরণার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে জানা গেছে।

কিন্তু নাগরিকত্ব কিংবা পরিচয়পত্রের অভাবে তাদের বেশিরভাগই দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন এবং নানা ধরনের সামাজিক নিপীড়নের শিকার হন। পাকিস্তান নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, সে দেশের ভূখণ্ডে ১৯৫১ সালের পর জন্মগ্রহণকারী যে কেউ পাকিস্তানী নাগরিকত্বের অধিকারী।

কিন্তু পাকিস্তানে বর্তমানে যারা সরকারি শরণার্থী কার্ড ব্যবহার করছেন তারা নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন না। যেসব উর্দুভাষী শরণার্থী দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে আটকা পড়ে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী অবশ্য তাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি।

তথ্যসূত্র: বিবিসি।

এসএইচ/