কোন ডিম উপকারী বেশি?
প্রকাশিত : ০৬:১৯ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার
সাদা ডিম না কি লালচে ডিম— কোনটা ভালো, কোনটা খাওয়া বেশি উপকারী— এ নিয়ে দ্বন্দ্ব, তর্ক বা মতের শেষ নেই। এমনিতেই ডিম প্রায় সব বাড়িতে প্রতি দিনই কম-বেশি প্রয়োজন পড়ে। বাড়িতে শিশু থাকলে তো কথাই নেই। কিন্তু কোনটার উপকারিতা বেশি এ নিয়ে রয়েছে যতেষ্ট বিতর্ক। সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, সাদা ডিম পাড়ে সাদা পালকের মুরগিরা। লাল ডিম পাড়ে গাঢ় রঙের পালকের মুরগি। এই দুই ধরনের মুরগির ক্ষেত্রে কি পুষ্টিগুণ বদলে যেতে পারে?
সম্প্রতি এই নিয়ে গবেষণা চালালেন কর্নেল ইউনিভার্সিটির প্রাণীবিজ্ঞানের ভিজিটিং ফেলো ট্রো ভি বুই এক সর্বভারতীয় দৈনিকে জানিয়েছেন, এই দুই ধরনের ডিমে পুষ্টিগতভাবে বিশেষ কোনও তফাত নেই। তার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্কের এক দল গবেষকও। তবে তাদের মতে, লাল ডিমে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড একটু বেশি রয়েছে। কিন্তু এই পরিমাণ এতই অল্প যে তাতে খুব একটা ফারাক পড়ে না।
ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারের (ইউএসডিএ) মতে, একটি বড় (৫০ গ্রাম ওজনের) ডিমে ৭২ ক্যালোরি ও ৪.৭৫ গ্রাম ফ্যাট ( যার মধ্যে ১.৫ গ্রাম মাত্র দ্রবণীয়)। সাদা ও লাল ডিমে এই পুষ্টিগুণের পরিমাণ প্রায় এক।
তবে সে কথায় খানিক ভিন্ন সুর মেশালেন কলকাতার পুষ্টিবিদ সুমিত ঘোষ। তার মতে, লাল ডিমে য়ে টুকু ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি, সেটুকুও তো শরীরের পক্ষে লাভজনকই। তবে সে কথাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন দিল্লির পুষ্টিবিদ গীতা মালহোত্র। তার মতে, ওটুকু ফ্যাটি অ্যাসিড সেভাবে আলাদা করে কোনও ভূমিকা পালন করতে পারে না। সুতরাং, দুধরনের ডিমের খাদ্যগুণই যে প্রায় সমান— সে কথাই মেনে নিচ্ছে চিকিৎসা মহল।
পুষ্টিগুণ না হয় এক, কিন্তু স্বাদ? গবেষকদের মতে, ডিমের স্বাদ নির্ভর করে মুরগিকে কীভাবে প্রজনন করানো হচ্ছে এবং মুরগির খাদ্যাভ্যাসের ওপর। সুতরাং, লাল হোক বা সাদা— ভালবেসে ডিম খান নিশ্চিন্তে।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার।
এসএইচ/