ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৮ ১৪৩১

মায়ের জন্য আমি ডিআইজি জাহাঙ্গীর

মাসুদ রানা, জবি 

প্রকাশিত : ০৭:১৯ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:০০ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

জাহাঙ্গীর কবির

জাহাঙ্গীর কবির

জীবনের কঠিন বাস্তবকে যারা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে পারে তাদের জন্য সফলতা শুধু সময়ের ব্যাপার। সেই সফলতার জন্য যার সব থেকে বড় অবদান সে হলো তার মমতাময়ী "মা"। একমাত্র মায়ের কারণে জাহাঙ্গীর কবির হয়েছেন ডিআইজি। তার মায়ের আত্মত্যাগ তার সফলতার মূল ভূমিকা হিসেবে কাজ করেছে। সম্প্রতি ডিআইজি জাহাঙ্গীর কবির একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন জাহাঙ্গীর কবির ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৬ সালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২নং মধুহাটি ইউনিয়নের বাজার গোপাল পুর গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হাজী মো. আবু জাফর এলাকার সম্মানিত ব্যক্তি। মাতা মৃত. লায়লা বেগম। তিনি পরিবারের পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয়।

তিনি জীবনে কি হবেন এমন কোন টার্গেট তার ছিল না। নিজের বড় ভাই ও মামার পড়াশোনার পেছনে পেছনে নিজেও পড়ে গেছেন। তার সফলতার পেছনে মা,বাবা,ভাই ও মামার ভূমিকা আছে। তবে মায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

জাহাঙ্গীর কবির ইতোমধ্যে সুনামের সঙ্গে কাজ করে নিজেকে অন্য উচ্চতায় পদায়ন করেছেন। তিনি দেশের মানুষের সেবা দিয়ে যেতে চান। নিজ এলাকায় জনপ্রিয় একজন মানুষ। তিনি কখনো নিজেকে নিয়ে গর্ব বা অহংকার করেন না। সবার মতো নিজেকে একজন সাধারণ মানুষ ভাবেন। তিনি দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চান।

ঝিনাইদহের এই কৃতি সন্তান বাজার গোপাল পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (বর্তমান বাজার গোপাল পুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ) পড়াশোনা করেন। তিনি ১৯৯২ সালে এসএসসি পাশের পর ঢাকায় নটরডেম কলেজে ভর্তি হন। তবে সেখানে হোস্টেল সুবিধা না থাকায় পড়তে পারেননি। পরে ঢাকা কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সেখানে ভর্তির সুযোগ পান। তারপরে তিনি ১৯৯৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হোন। পরে তিনি ১৯৯৫-৯৬ শিক্ষাবর্ষে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

জাহাঙ্গীর কবিরের সরকারি চাকরি করার ইচ্ছা ছিল না। তিনি ভালো বেতনে সার্কে চাকরি করতেন। কিন্তু সহধর্মিনী নাজনীন নাহারের ইচ্ছা তার স্বামী সরকারি কোন চাকরি করুক। তার ফলপ্রসূতে তিনি জেল সুপারের স্পেশাল বিসিএস পরীক্ষায় অংগ্রহণ করেন। সেখানে তিনি মেধায় ১ম স্থান অধিকার করে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেন।

ব্যক্তি জীবনে রাদ শারার ও রাদ শাহামাত দুই সন্তানের বাবা জাহাঙ্গীর কবির বর্তমানে ময়মনসিংহ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডি.আই.জি প্রিজন হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।

তিনি ২০০৮ সালে মুন্সিগঞ্জ কারাগারে জেল সুপার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
তারপর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ ও ২ হয়ে এআইজি হিসেবে কারা অধিদফতরে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর কুমিল্লা জেলা কেন্দ্রীয় কারাগার, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার হয়ে সিনিয়র জেল সুপার হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মজীবন শুরু করেন।

জাহাঙ্গীর কবির পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের শেষ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং কেরানীগঞ্জে নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রথম কর্মকর্তা হিসেবে কাজ শুরু করতে পারার সুযোগ পাওয়ায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন।

এসএইচ/