ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

জেএমবি নিজেদের শক্তির জানান দেয় ৬৩ জেলায় বোমা হামলা চালিয়ে

প্রকাশিত : ১০:৫৩ এএম, ১৮ আগস্ট ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:৫৩ এএম, ১৮ আগস্ট ২০১৬ বৃহস্পতিবার

বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায়ই বেড়ে উঠেছিল জেএমবি। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ৬৩ জেলায় বোমা হামলা চালিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দেয় তারা। হামলার হোতা শায়খ রহমান ও বাংলা ভাইয়ের উত্থানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তারেক রহমানের ঘনিষ্টদের নাম। মূলত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতেই তৎকালীন জোট সরকারের প্রশ্রয়ে জেএমবি এসব হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছিল বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। ২০০৫ সালে ৬৩ জেলার ৫শ স্থানে একযোগে বোমা হামলা চালায় জেএমবি। শায়খ আব্দুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে সেসময় রাজশাহী অঞ্চলে ঘাটি গাড়ে তারা। বাগমারা-আত্রায়-রাণীনগর-নলডাঙ্গা এলাকায় জেএমবি মাত্র ১ বছরের মধ্যে হত্যা করে ৩২ জনকে। এই বর্বর নির্যাতনের টার্গেট ছিল ঐ অঞ্চলের আওয়ামীলীগ ও বামপন্থী সংগঠনের নেতা কর্মীরা। পরে বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলায় হত্যা করা হয় ২ বিচারকসহ আরও ৩৩ জনকে বাংলাভাইদেরকে মদদদানে সরাসরি উঠে আসে চারদলীয় জোট সরকারের তৎকালীন মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, প্রতিমন্ত্রী আলীমগীর কবীর; উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস দুলু, মেয়র মিজানুর রহমান মিনু; এমপি নাদিম মোস্তফাসহ বিএনপি-জামায়াতের স্থানীয় নেতাদের নাম। এছাড়া তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফর জামান বাবার, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইএর সেই সময়ের প্রধান মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, রাজশাহীর তৎকালীন এসপি মাসুদ মিয়া সহ অনেকরই প্রত্যক্ষ সংযোগ ছিল জেএমবির উত্থানে। এরা সবাই ঐ সময়ে ছিলেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের ঘনিষ্ট সহচর। ইতিহাসবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডক্টর আনোয়ার হোসেন মনে করেন, পুরোপুরি রাষ্ট্রীয় মদদে ওই সময়ের বিরোধী মত দমনে জেএমবির সৃষ্টি হয়েছিলো। মুক্তিযদ্ধের পক্ষ শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতেই বিএনপি জামায়াত রাজনীতিতে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছে বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ। মদদদাতাদের ধরে জেএমবির মূলোৎপাটনের তাগিদ দিলেন এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।